প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১১ জুন, ২০২৪, ৮:১৫ অপরাহ্ন
কলা এমন একটি ফল যে কেনার একদিন বা দুইদিন পরই খোসাতে কালচে-খয়েরি ছোপ পড়তে শুরু করে। এই ধরনের কলা সাধারণত কেউ খেতে চান না। আবার অনেক সময় পেকে গেছে বলে ফেলেও দেওয়া যায় না। কেউ কেউ অতিরিক্ত পাকা বা মজা কলার সঙ্গে আটা বা ময়দা মিশিয়ে প্যানকেক তৈরি করেন। কেউ কেউ অন্য পদ তৈরি করেন। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, এই ধরনের কলা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কলাতে পটাশিয়াম, ফাইবার, নানা ধরনের ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকলেও অতিরিক্ত পাকলে তা শরীরের ক্ষতি করতে পারে। কারণ, কলা একটু বেশি পেকে গেলে এর মিষ্টত্ব বেড়ে যায়। সেই কারণে অনেকে সেটি খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু কলা বেশি পেকে গেলে, তার স্টার্চ ভাঙতে শুরু করে এবং সেগুলি চিনিতে পরিণত হয়। সাধারণ পাকা কলার তুলনায় কালচে হয়ে যাওয়া কলায় প্রায় ৩ গ্রাম বেশি চিনি থাকে। এই কলা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। এ ছাড়াও বেশি পেকে গেলে কলায় ফাইবারের পরিমাণও কমতে থাক, যা স্বাস্থ্যের জন্য ততটাও ভালো নয়।
কলা পচনশীল খাবার। অতিরিক্ত পেকে গেলে কলার মধ্যে সহজেই ছত্রাক বাসা বাঁধতে পারে। যা খোলা চোখে সহজে দেখা যায় না। ফলে খাবারের সঙ্গে তা পেটের মধ্যে গিয়ে সমস্যা তৈরি করতে পারে। এই ধরনের মজা কলা খেলে ডায়রিয়াতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও থেকে যায়।