মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
 

ভারতের ভিত্তিহীন বিবৃতিতে ঘটনার ভুল উপস্থাপন হয়েছে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়    চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তার নিয়ে বিকৃত তথ্য ছড়াচ্ছে ভারত: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়    অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার, বিচার নিশ্চিতের দাবি হাসনাত ও সারজিসের    চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ    একদিনের ব্যবধানে সোনার দাম আরও কমলো    ২০১ রানের বড় হার বাংলাদেশের    চলতি মাসেই ডেঙ্গুতে মৃত্যু দেড়শ ছাড়িয়েছে   
এনবিআরের বিরুদ্ধে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ বাজুসের
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশ: রোববার, ৯ জুন, ২০২৪, ৭:৪১ অপরাহ্ন

১০ টাকা ভ্যাট আদায়ের আড়ালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ৯০ টাকা ঘুষ নেয় বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এনবিআরকে এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসারো আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

সেই সঙ্গে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট চূড়ান্ত করার আগে ১৫টি প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে বাজুস। এসব প্রস্তাবনা পুনর্বিবেচনা না করা হলে জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা ব্যবসা বন্ধ করে দেবেন বলে হুমকি দেয়া হয়েছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে রোববার (৯ জুন) রাজধানীর পান্থপথে বাজুস কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এনবিআরের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করে দাবিগুলো পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানায় সংগঠনটি।

বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ট্যারিফ এন্ড ট্যাক্সেশনের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, বাজুসের পক্ষ থেকে আমরা অর্থমন্ত্রীর কাছে আমাদের বাজেট প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম। গত কয়েক বছরের প্রাক-বাজেটের বৈঠকে এনবিআর চেয়ারম্যান বাজুসের দাবি পূরণের অঙ্গীকার করলেও বাস্তবে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ছলচাতুরীর আশ্রয় নিচ্ছেন।

তিনি বলেন, জুয়েলারি শিল্পে যখন নতুন নতুন শিল্প-কারখানা গড়ে ওঠার উৎসাহ প্রদান করছে বাজুস, তখন এনবিআর নীতিসহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসছে না। পাশাপাশি সারাদেশের জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ভ্যাট আদায়ের নামে হয়রানি করছে। ১০ টাকা ভ্যাট আদায়ের আড়ালে ৯০ টাকা ঘুষ নেয়ার সংস্কৃতি থেকে এনবিআরকে বেরিয়ে আসতে হবে।

লিখিত বক্তব্যে সোনার অলংকার বিক্রির ক্ষেত্রে ভ্যাট হার ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করাসহ ১৫টি প্রস্তাবনা তুলে ধরে বাজুস।

লিখিত বক্তব্যে আনোয়ার হোসেন বলেন, সোনার অলংকার বিক্রির ক্ষেত্রে ভ্যাট হার কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হলে ক্রেতা সাধারণ ভ্যাট প্রদানে উৎসাহিত হবেন। পাশাপাশি জুয়েলারি খাত থেকে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ হবে।

তিনি বলেন, ইএফডি মেশিন যতো দ্রুত সম্ভব নিবন্ধনকৃত সকল জুয়েলারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিতরণ করতে হবে। সরকার কর্তৃক বিভিন্ন জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে ইএফডি মেশিন বসানোর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে বাজুসের পক্ষ থেকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। কিন্তু যে সকল জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে এখনো ইএফডি মেশিন বসানো হয়নি, সেই সকল জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে ইএফডি মেশিন বসানো জরুরি। 

অপরিশোধিত স্বর্ণ আকরিকের ক্ষেত্রে আরোপিত সিডি ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে শুধুমাত্র জুয়েলারি খাতের জন্যে রেয়াতি হারে ১ (এক) শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করেন তিনি। তিনি বলেন, আংশিক পরিশোধিত স্বর্ণের ক্ষেত্রে সিডি ১০ শতাংশের পরিবর্তে আই আর সি ধারী এবং ভ্যাট ক্ল্যায়েন্ট শিল্পের জন্য শুল্ক হার ৫ শতাংশ করা হোক।

এছাড়াও আয়কর আইন ৪৬-(বিবি)(২) ধারার অধীনে স্বর্ণ পরিশোধনাগার শিল্পে ১০ বছরের জন্য কর অবকাশ বা ট্যাক্স হলিডে প্রদান, আয়কর আইন, ২০২৩ এর ১৪০ (৩) (ক) ধারা অনুযায়ী উৎসে কর কর্তনের দায়িত্ব প্রাপ্ত “নির্দিষ্ট ব্যক্তি” এর আওতায় দেশের জুয়েলারি শিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে কর-অব্যাহতি প্রদান, ‘‘স্বর্ণ নীতিমালা-২০১৮ (সংশোধিত-২০২১)’ এর ৮.২ উপধারার অনুসারে ব্যাগেজ রুল সংশোধনের মাধ্যমে পর্যটক কর্তৃক সোনার বার আনা বন্ধ করা এবং ট্যাক্স ফ্রী সোনার অলংকারের ক্ষেত্রে ১০০ গ্রামের পরিবর্তে সর্বোচ্চ ৫০ গ্রাম করার প্রস্তাব করা হয় লিখিত বক্তব্যে।

প্রস্তাবনার মধ্যে আরো ছিল, বৈধভাবে সোনার বার, সোনার অলংকার, সোনার কয়েন রপ্তানিতে উৎসাহিত করতে কমপক্ষে ২০ শতাংশ ভ্যালু এডিশন করা শর্তে রপ্তানিকারকদের মোট ভ্যালু এডিশনের ৫০ শতাংশ আর্থিক প্রণোদনা দেয়া, এইচ.এস. কোড ভিত্তিক অস্বাভাবিক শুল্ক হার সমূহ হ্রাস করে পার্শ্ববর্তী দেশসমূহের সাথে শুল্ক হার সমন্বয়সহ এসআরও সুবিধা প্রদান করা ও মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০২২ ধারা-১২৬ক অর্থ আইন, ২০১৯ (২০১৯ সালের ১০নং আইন) এর ১০২ ধারাবলে, চোরাচালান প্রতিরোধ করতে গিয়ে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সহ সকল আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সমূহের উদ্ধারকৃত সোনার মোট পরিমাণের ২৫ শতাংশ উদ্ধারকারী সংস্থা সমূহের সদস্যদের পুরস্কার হিসেবে প্রদান করা হোক।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাজুসের সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায়, বাজুসের মুখপাত্র ও সাবেক সভাপতি এবং কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. দিলীপ কুমার রায়, বাজুসের উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল, বাজুসের সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান ও বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ট্যারিফ এন্ড ট্যাক্সেশনের সদস্য সচিব ও কার্যনির্বাহী সদস্য পবন কুমার আগরওয়াল।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


Also News   Subject:  জাতীয়   অর্থনীতি   রাজস্ব  







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. আক্তার হোসেন রিন্টু
বার্তা ও বাণিজ্যিক বিভাগ : প্রকাশক কর্তৃক ৮২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক (৩য় তলা) ওয়্যারলেস মোড়, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭।
বার্তা বিভাগ : +8802-58316172. বাণিজ্যিক বিভাগ : +8801868-173008, E-mail: dailyjobabdihi@gmail.com
কপিরাইট © দৈনিক জবাবদিহি সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft