প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনারদের (ইসি) বেতন নির্ধারণ করে হচ্ছে নতুন আইন। ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার), আইন, ২০২৪’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
আজ সোমবার (২০ মে) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এক লাখ ৫ হাজার টাকা এবং অন্য নির্বাচন কমিশনাররা ৯৫ হাজার টাকা করে মাসিক বেতন পাবেন। এটি সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এ বছরের ১৭ এপ্রিল আইনের খসড়া উঠেছিল। তখন নীতিগত অনুমোদন করা হয়েছিল। আজকে চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে। আইনের আওতায় বর্তমানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্য নির্বাচন কমিশনাররা যে বেতন-ভাতাদি পাচ্ছেন সেটি ছিল ১৯৮৩ সালের। সেটি ‘দ্য চিফ ইলেকশন কমিশনার অ্যান্ড কমিশনারস (রিমিউনারেশন অ্যান্ড প্রিভিলেজস) অর্ডিন্যান্স-১৯৮৩। ’
তিনি বলেন, আমাদের উচ্চ আদালতের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে সামরিক শাসনামলের যেসব আইন ছিল সেগুলো পরিবর্তনের যে নির্দেশনা আছে তার আলোকে এ আইনটি করা হয়েছে।
‘আইনে মূলত, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্য কমিশনারদের বেতন-ভাতাদি নির্ধারণ করা হয়েছে। মূলত আগে যে আইনটি ছিল সে আইনকেই অনুসরণ করা হয়েছে। সেটি হলো যে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার আপিল বিভাগের বিচারপতির সমান বেতন-ভাতাদি পাবেন এবং নির্বাচন কমিশনার হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতির সমান বেতন-ভাতাদি পাবেন। ’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এখানে ওই রকম না লিখে সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে যে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রতি মাসে এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা বেতন পাবেন। আর নির্বাচন কমিশনার পাবেন ৯৫ হাজার টাকা। বিশেষ ভাতা হিসেবে তারা উভয়ে তাদের মূল বেতনের ৫০ শতাংশ হিসেবে পাবেন।
তিনি বলেন, এছাড়াও সিইসি ও ইসিরা উৎসব ভাতা, বাংলা নববর্ষের ভাতা, আবাসন সুবিধা, যানবাহন সুবিধা, টেলিফোন সুবিধা, কুক ভাতা ও সিকিউরিটি ভাতা পাবেন। নিয়ামক ভাতা পাবেন আট হাজার টাকা করে। চিকিৎসা সুবিধা আগে থেকে যেভাবে আছে সেটিই থাকবে।
সিইসি ও ইসিদের পদমর্যাদা ঠিক থাকছে কি না- জানতে চাইলে মাহবুব হোসেন বলেন, সেটির কোনো পরিবর্তন হয়নি। সেটি মূল আইনে রয়েছে। আপিল বিভাগের বিচারপতিরাও এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা বেতন পান। বেতন আগের মতোই রয়েছে।