শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। লোকসানে থাকা কোম্পানিটি শেফার্ড টেক্সটাইল (বিডি) এর সঙ্গে একীভূত হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে মার্জার বা একীভূত হতে প্রায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ। এখন শুধু হাইকোর্টের রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে কোম্পানি দুটি।
সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, মূলত ট্যাক্স ফাঁকি দিতে ও বিনিয়োগকারীদের কম ডিভিডেন্ড দিতেই শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ একীভূত হতে যাচ্ছে শেফার্ড টেক্সটাইলের সঙ্গে। লোকসানে থাকা শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ কবে নাগাদ মুনাফায় ফিরবে তা কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জানে না। যদিও২০২১-২০২২ অর্থবছরের হিসেব অনুযায়ী একীভূত হবে কোম্পানি দুুটি। তারপরেও একীভূত হলে শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের লোকসানের প্রভাব শেফার্ড টেক্সটাইলেও পড়বে।
শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের আর্থিক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২৩ জুন ২০২৩ সমাপ্ত বছরে কোম্পানির মোট লায়েবিলিটিজ রয়েছে ২৮৪ কোটি ৯৯ লাখ ২৪ হাজার ৪৬৮ টাকা। এর মধ্যে কারেন্ট লায়েবিলিটিজ ২৭২ কোটি ৯০ লাখ ৬৫ হাজার ২৬৬ টাকা। আর নন-কারেন্ট লায়েবিলিটিজ রয়েছে ১২ কোটি ৮ লাখ ৫৯ হাজার ২০২ টাকা। কোম্পানির স্বল্প মেয়াদি লোন রয়েছে ২১০ কোটি ১৯ লাখ ৪ হাজার ৩৩৫ টাকা।
পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজানুর রশিদ চৌধুরী জবাবদিহিকে বলেন, দুটি কোম্পানি আলাদা থাকলে সরকার ট্যাক্স বেশি পায়। কিন্তু মার্জার বা একীভূত হলে ট্যাক্সের পরিমাণ কমে আসে। তাছাড়া বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড কম দেয়ার জন্যও শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ একীভূত হতে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) আতাউর রহমান বলেন, দুটো কোম্পানি আলাদা থাকায় খরচ বেশি হচ্ছে। মার্জার হলে খরচের পরিমাণ কমে আসবে। তখন কোম্পানি দুটি পরিচালনা করতে সহজ হবে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে খারাপ অবস্থায় রয়েছে শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ। কবে নাগাদ কোম্পানি ভালো অবস্থায় ফিরবে তা এই মূহুর্তে বলা যাবে না। মার্জারের ব্যাপারে বিনিয়োগকারী, পাওনাদারদের মতামতসহ প্রায় সকল কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এখন হাইকোর্টের রায় আসলেই মার্জার বা একীভূত হয়ে যাবে।