প্রকাশ: শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ৪:৪৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ৪:৪৬ অপরাহ্ন
চোট পিছুই ছাড়ছে না তাসকিন আহমেদের। কখনো কাঁধে তো কখনো পিঠে কিংবা গোড়ালিতে—বাংলাদেশের ডানহাতি পেসারের ক্যারিয়ারজুড়ে চোটের তালিকায় সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে পাঁজরের মাংসপেশি। এই চোটে তাঁর বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। সেই শঙ্কা যে উড়ে গেছে, সেটা এখনই জোর দিয়ে বলার উপায় নেই।
তাসকিনের চোটের যে ধরন, তা থেকে সেরে উঠতে অন্তত তিন-চার সপ্তাহ সময় লাগবে বলে জানা গেছে। তবু তাঁকে বিশ্বকাপ দলে রেখেছেন নির্বাচকরা। সঙ্গে সহ-অধিনায়কের নতুন দায়িত্বও দেয়া হয়েছে। চোট নিয়েই মঙ্গলবার মধ্যরাতে বিশ্বকাপ দলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রা করেছেন তাসকিন।
আগামী ৭ জুন (স্থানীয় সময়) বাংলাদেশের বিশ্বকাপ শুরু হলেও এর আগে আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ২১, ২৩ ও ২৫ জুন তিন ম্যাচের সিরিজ খেলবেন নাজমুল হোসেনরা। তাসকিনকে এই সিরিজের দলে রাখেননি নির্বাচকরা।
তবে তাসকিনকে দলের সঙ্গে নেওয়ার অন্যতম কারণ, আগামীকাল যুক্তরাষ্ট্রে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানো হবে। এ ব্যাপারে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেছেন, ‘১৮ তারিখে (আগামীকাল) ওখানে একজন ডাক্তার দেখানোর কথা আছে।
দলের সঙ্গে আমাদের ডাক্তার আছেন। উনি কথা বলবেন। এরপর বোঝা যাবে। সে অনুযায়ী আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’তাসকিনের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে, সেটি অবশ্য পরিষ্কার করেননি জালাল।
তবে সহ-অধিনায়কত্ব যখন দেওয়া হয়েছে তখন নিশ্চিতভাবেই বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ থেকেই তাসকিনকে খেলানোর পরিকল্পনা আছে অধিনায়ক ও প্রধান কোচের। তাসকিন নিজেও চান খেলতে। সে ক্ষেত্রে বিকল্প পথে হাঁটতে হচ্ছে। নিয়মিত বেদনানাশক ওষুধ খেতে হবে তাসকিনকে।
জাতীয় দল ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘এর আগেও তাসকিন এভাবে খেলেছে। ২০২৩ বিশ্বকাপে কাঁধের চোটের কারণে ম্যাচের আগে এবং ম্যাচের পর পেইনকিলার নিতে হতো। এবারও একই পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও চোট টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন তাসকিন। ডান কাঁধের চোটে তাঁর খেলা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল।
তবে ২০১৯ বিশ্বকাপে জায়গা হারানো তাসকিন ২০২৩ বিশ্বকাপে যেকোনো মূল্য খেলতে চেয়েছিলেন। প্রতি ম্যাচের আগে-পরে ব্যথানাশক ওষুধ খেতে হয়েছিল তাঁকে। এভাবেই সাতটি ম্যাচ খেলেছিলেন তাসকিন। যদিও দলের মতো তাঁর জন্যও ভারতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ স্মরণীয় নয়। সব মিলিয়ে ৫৫ ওভার বল করে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট।