প্রকাশ: সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪, ৫:৪৭ অপরাহ্ন
যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে তাদের লাল মরিচ বা গরম মশলা কম খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। বলা হয়, বেশি গরম মশলা এবং শুকনো লাল মরিচ দেওয়া রান্না খেলে পেটে আলসার বা ঘা হয়। এই ধারণা কি আসলেই ঠিক? চিকিৎসকরা এ বিষয়ে কী বলেন? পেটের আলসারের আসল কারণ কী?
চিকিৎসকদের মতে, মশলাযুক্ত খাবারে থাকা একাধিক যৌগ পেটের জন্য অত্যন্ত উপকারী। অনেকের ধারণা লাল মরিচ বা মশলাযুক্ত খাবার খেলে পেটে আলসার হয়। এই ধারণা ঠিক নয়। এসব খাবারের কারণে কারো আলসার হয় না। তবে এসব খাবার আগে থেকে হওয়া পেটের আলসারকে বাড়িয়ে তুলতে পারে।
পেটের আলসারের মূল কারণ কী?
একটি গবেষণায় এটি প্রমাণিত হয়েছে যে মশলাযুক্ত খাবার বা শুকনো মরিচে ক্যাপসাইসিন নামক একটি যৌগ থাকে। এটি পাকস্থলীর ভিতরের আস্তরণের জন্য খুবই উপকারী। গবেষণা অনুযায়ী, ক্যাপসাইসিন হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি বন্ধ করে। ফলে পেট সুস্থ থাকে এবং পেটের আলসারের ঝুঁকি আরও কমে।
অন্ত্রের প্রাচীরে শ্লেষ্মা উৎপাদন ক্ষমতাও বাড়ায় ক্যাপসাইসিন। এতে আলসারের ঝুঁকি কমে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন লাল মরিচ বা মশলাদার খাবার নয়, পাকস্থলীর আলসারের কারণ হতে পারে পুষ্টিকর একটি খাবার বা পানীয়। এটি হলো দুধ। অনেকেই, ল্যাকটোজ টলারেন্ট হয়। যাদের দেহে ল্যাকটোজ হজমকারী উৎসেচক তৈরি হয় না, তাদের পেটে দুধ বা দুগ্ধজাত দ্রব্য পাকস্থলীর আলসারের কারণ হতে পারে।
এছাড়াও হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি ব্যাকটেরিয়া প্রধানত পাকস্থলীর আলসারের জন্য দায়ী। এটি অন্ত্রের আস্তরণে ক্ষত সৃষ্টি করতে শুরু করে। এছাড়া, যারা দীর্ঘ সময় ধরে আইবুপ্রোফেন বা অ্যাসপিরিনের মতো নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ওষুধ ব্যবহার করে থাকেন, তারাও আলসারের সমস্যায় ভুগতে পারেন। অনেকসময় ওষুধের কারণেই আলসারের সমস্যা হয়। আবার কিছু সংক্রমণ, কেমোথেরাপি এবং দুর্ঘটনার কারণেও পেটে আলসার হতে পারে।