মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
 

ভারতের ভিত্তিহীন বিবৃতিতে ঘটনার ভুল উপস্থাপন হয়েছে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়    চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তার নিয়ে বিকৃত তথ্য ছড়াচ্ছে ভারত: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়    অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার, বিচার নিশ্চিতের দাবি হাসনাত ও সারজিসের    চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ    একদিনের ব্যবধানে সোনার দাম আরও কমলো    ২০১ রানের বড় হার বাংলাদেশের    চলতি মাসেই ডেঙ্গুতে মৃত্যু দেড়শ ছাড়িয়েছে   
জামায়াতকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামতে চায় বিএনপি
অনলাইন ডেস্ক:
প্রকাশ: সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪, ১২:১৭ অপরাহ্ন

সরকারের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচন দাবিতে আগামীর আন্দোলনে জামায়াতে ইসলামীকে একমঞ্চে চায় বিএনপির নেতৃত্বাধীন যুগপৎ আন্দোলনের অন্যতম মিত্র ১২ দলীয় জোট। তাদের পরামর্শ, বিএনপির বাইরে সাংগঠনিকভাবে জামায়াত শক্তিশালী। তাই মাঠের আন্দোলন সফল করতে হলে জামায়াতসহ বাম-ডান ও ইসলামী ঘরানার সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামতে হবে।

গতকাল রোববার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠকে এমন পরামর্শ দেন ১২ দলের কয়েকজন নেতা। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর একদফা দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি। কিন্তু নির্বাচনের পর চার মাস পেরিয়ে গেলেও যুগপতভাবে কোনো কর্মসূচি মাঠে গড়ায়নি। এমন প্রেক্ষাপটে সরকারবিরোধী আগামীর আন্দোলনের কর্মকৌশল নির্ধারণে মিত্রদের পরামর্শ নিতে সিরিজ বৈঠক শুরু করেছে বিএনপি। এর অংশ হিসেবে গতকাল ১২ দলীয় জোটের পর একই স্থানে এলডিপির সঙ্গেও বৈঠক করেছে দলটি।

বৈঠকে ১২ দলীয় জোটের নেতারা বলেন, ২৮ অক্টোবরের আগে একমঞ্চ থেকে আন্দোলন পরিচালনার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। আমরা তখন একমঞ্চে প্রায় চলেও এসেছিলাম। কিন্তু যুগপতেরই দু-একটি শরিক দল ও জোটের বিরোধিতার কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। ২৮ অক্টোবর জামায়াতও মাঠে ছিল। কিন্তু পৃথকভাবে তারা কর্মসূচি করেছে। ওইদিন সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে নামলে পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারত।

বৈঠকের শুরুতে বিএনপির পক্ষ থেকে দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আন্দোলনের নতুন কী কর্মসূচি নেওয়া যায়, সে ব্যাপারে ১২ দলের নেতাদের কাছে পরামর্শ চাওয়া হয়। তখন জোটের কয়েকজন নেতা নির্বাচন বর্জন করে যুগপৎ কিংবা যুগপৎ আন্দোলনের বাইরে থাকা সবাইকে নিয়ে ঈদুল আজহার পর ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামার পরামর্শ দেন। এ সময় দু-একজন নেতা ঢাকায় একমঞ্চ থেকে সমাবেশ এবং ঢাকার বাইরে সব মহানগরে একই আদলে সমাবেশের মতো কর্মসূচির প্রস্তাব করেন। তবে কেউ কেউ বলেন, কোনো কারণে একমঞ্চ সম্ভব না হলে যুগপতের পরিধি বাড়ানো যেতে পারে।

এ ছাড়া ভারতীয় পণ্য বর্জনের ক্যাম্পেইন আরও জোরালো করার প্রস্তাব দেন জোটের কেউ কেউ। তখন বিএনপির পক্ষ থেকে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলা হয়, আমরা সীমান্তে হত্যা নিয়ে কর্মসূচি দিতে পারি। তা ছাড়া মিয়ানমারও এখন আমাদের জন্য হুমকি। মিয়ানমার সীমান্তেও প্রতিনিয়ত ঝামেলা হচ্ছে। তাই শুধু একটি ইস্যুতে সীমাবদ্ধ না থেকে বৃহৎভাবে আগ্রাসনবিরোধী কোনো কর্মসূচি দেওয়া যায় কি না, সেটা নিয়ে ভাবা যেতে পারে। এজন্য ১২ দলকে প্রয়োজনে সময় নিয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কর্মসূচির প্রস্তাব দেওয়ার কথা বলে বিএনপি। দলটির নেতারা জানান, যুগপতের সব শরিকের মতামত নিয়ে দলের স্থায়ী কমিটিতে পর্যালোচনা শেষে আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।

বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, এই বৈঠক আমাদের একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার অংশ। আমরা মাঝেমধ্যেই বসি, আলোচনা করি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুতের দামবৃদ্ধিসহ নানা বিষয়ে মানুষের দুর্ভোগ, অর্থনীতির দুরবস্থা, দুর্নীতি-অনাচার, সীমান্ত সংকট, সীমান্তে মানুষ হত্যা, অনুপ্রবেশসহ নানা বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।

১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, আগামীতে আন্দোলন কীভাবে গড়ে তোলা যায়, তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, দেশের অবস্থা ভালো নয়। মানুষ এ অবস্থার পরিবর্তন চায়। এ অবস্থায় যুগপৎ আন্দোলনকে নতুন করে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। কীভাবে সেটা করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, শিগগিরই ১২ দলের পক্ষ থেকে আন্দোলনের কর্মসূচির প্রস্তাব দেওয়া হবে।

জোটের শরিক লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান বলেন, আগামীর আন্দোলনের কী কর্মসূচি নেওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কোরবানির ঈদের পর থেকে যুগপৎ আন্দোলন শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে। বৈঠকে বিএনপির পক্ষে নজরুল ইসলাম খান ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান উপস্থিত ছিলেন। জোট নেতাদের মধ্যে জমিয়তের গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদাসহ অন্যরা ছিলেন।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »


Also News   Subject:  রাজনীতি   বিএনপি   জামায়াত  







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. আক্তার হোসেন রিন্টু
বার্তা ও বাণিজ্যিক বিভাগ : প্রকাশক কর্তৃক ৮২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক (৩য় তলা) ওয়্যারলেস মোড়, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭।
বার্তা বিভাগ : +8802-58316172. বাণিজ্যিক বিভাগ : +8801868-173008, E-mail: dailyjobabdihi@gmail.com
কপিরাইট © দৈনিক জবাবদিহি সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft