প্রকাশ: সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫:০৮ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা আইসিসির সূচি অনুযায়ী আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে পাকিস্তানে হওয়ার কথা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। নানা শঙ্কার মাঝেই ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন করতে যাচ্ছে তারাই।
বৈশ্বিক টুর্নামেন্টটি আয়োজনে আইসিসির সঙ্গে চুক্তি করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। তবে এশিয়া কাপের মতো এবারও পাকিস্তান সফরে যাবে না ভারতীয় ক্রিকেট দল। এমনটায় জানাচ্ছে ভারতে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে।
তবে শুরু থেকে তাই প্রসঙ্গ উঠে এসেছিল এশিয়া কাপের মতো হাইব্রিড মডেলের। কিন্তু পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) আইসিসির কাছে যে সূচি জমা দিয়েছে, সেখানে ভারতের সব ম্যাচই রাখা হয়েছে পাকিস্তানে। এমনটায় জানায় ক্রিকেট পাকিস্তানের এক প্রতিবেদনে।
এছাড়া খসড়া অনুযায়ী আট দলের টুর্নামেন্টটি দুই সপ্তাহ ধরে অনুষ্ঠিত হবে। যদিও সুনির্দিষ্ট করে দিনক্ষণ সম্পর্কে জানা যায়নি। ক্রিকইনফো জানিয়েছে, আইসিসির পক্ষ থেকে পাঠানো একটি প্রতিনিধি দলের পর্যবেক্ষণের পরই ভেন্যু আর সূচির বিষয়টি পিসিবি চূড়ান্ত করেছে।
প্রস্তাবিত সূচিতে ভেন্যু হিসেবে রাখা হয়েছে লাহোর, করাচি, রাওয়ালপিন্ডি। আইসিসির কাছে সেই খসড়া ইতোমধ্যে পাঠানোও হয়েছে। টুর্নামেন্ট শুরুর জন্য মধ্য ফেব্রুয়ারিকে উইন্ডো হিসেবে ধরা হয়েছে। প্রাথমিক সেই খসড়ায় ভারতকে নিয়েই সবগুলো ম্যাচের সূচি প্রস্তুত করা হয়েছে,ক্রিকেট পাকিস্তানের প্রতিবেদনে এমনটায় জানায়।
লাহোরে পিসিবি চেয়ারম্যান মোহসিন নাকভিও সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমরা ম্যাচের সূচি আইসিসির কাছে পাঠিয়েছি।’
২০০৯ এ ক্রিকেটের সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা লাহোর অ্যাটাকের পর বড় টুর্নামেন্টের আয়োজক হিসেবে ক্রিকেটের কালো তালিকায় নাম উঠেছিল পাকিস্তানের। ২০০৯ এর চ্যাম্পিয়ন ট্রফি, এগারোর বিশ্বকাপের ভেন্যু থেকেও নাম কাটা যায় এই ক্রিকেট পরাশক্তির। পাকিস্তান সর্বশেষ ১৯৯৬ সালে আইসিসির কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছে যেটি ছিল ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফলে সব ঠিক থাকলে দেশটিতে প্রায় ৩০ বছরের মধ্যে প্রথম আইসিসি ইভেন্ট হতে যাচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে সব কিছু প্রস্তুত হলেও এখন টুর্নামেন্টে ভারতের উপস্থিতির বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রে থাকবে। একবার স্বাগতিক বোর্ড কোনও খসড়া পাঠালে সেটা আইসিসিতে বিভিন্ন ধাপের মধ্য দিয়ে যায়। তার পর সেটা চূড়ান্ত করার আগে সম্প্রচারকারী প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য বোর্ডগুলোর সঙ্গে শেয়ার করা হয়। ফলে ভারতের ওপরই নির্ভর করছে অনেক কিছু। আইসিসির পরবর্তী বার্ষিক সভাটি অনুষ্ঠিত হবে জুলাইয়ে। সেই সভার পর একটা আভাস অন্তত পাওয়া যাবে।