প্রকাশ: শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ৬:২৭ অপরাহ্ন
দেশের কোথাও কোথাও অতি তীব্র, কোথাও তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে তাপপ্রবাহ গত ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। আরো দুয়েকদিন এমন তাপদাহে পুড়তে হবে মানুষকে। তারপর নামবে স্বস্তির বৃষ্টি। আগামী ২ মে সারাদেশেই বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাতে কমবে তাপমাত্রার ভোগান্তি, মিলবে সাময়িক মুক্তি।
অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, চলমান তাপপ্রবাহ এপ্রিলের বাকি তিন দিনেও থাকবে। তবে মে মাসের ২ তারিখ থেকে উত্তর-পূর্ব ও উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টি হবে। প্রথম অবস্থায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে। এটা ২ বা ৩ মে থেকে শুরু হতে পারে। এরপর বাকি রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগে ৫ বা ৬ তারিখ থেকে বৃষ্টি শুরু হতে পারে।
এই বৃষ্টি চার থেকে পাঁচ দিন স্থায়ী হতে পারে। মে মাসও দেশের উষ্ণতম মাস উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের ইতিহাসে যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা তা এই মাসেই রেকর্ড করা হয়েছিল। তাই এই বৃষ্টির পর আবার গরম শুরু হবে।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। খুলনা ও রাজশাহী ছাড়া দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে তাপপ্রবাহ কিছুটা কমে এসেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার তাপপ্রবাহ নিয়ে আরেকটি সতর্কতা দেয়া হতে পারে বলেও জানিয়েছে অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, টানা তাপপ্রবাহ থেকে নিস্তারের একমাত্র উপায় বৃষ্টি। গত বছর এপ্রিল ও মে মিলিয়ে টানা ২৩ দিন তাপপ্রবাহ ছিল। এরপর বৃষ্টির কারণেই সেই তাপপ্রবাহ থেকে নিস্তার মিলেছিল। আর সেটি ছিল দেশের রেকর্ড তাপপ্রবাহ। এবার টানা ২৮ দিন দেশে তাপপ্রবাহ চলমান রয়েছে। যা গত ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। এর আগে ১৯৪৮ সালে এমন তাপপ্রবাহ ছিল বেশি দিন ধরে।
উল্লেখ্য, দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৯৭২ সালের ১৯ মে। সেদিন রাজশাহীতে তাপমাত্রা ছিল ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।