ঈদুল ফিতরের আগে ব্রয়লার মুরগির দাম ২৬০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। গত সপ্তাহে কেজিতে ২০-৩০ টাকা কমে হয়েছিল ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা। এখন আরো কিছুটা কমে বাজারে ২১০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সোনালি ও দেশি মুরগি, কেজিতে বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
অন্যদিকে সবজিতে কিছুটা স্বস্তি দেখা দিয়েছে। বেশির ভাগ সবজি ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর স্থিতিশীল রয়েছে চালের বাজার। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, গুলশানের কালাচাঁদপুর ও ভাটারা থানার বসুন্ধরা গেটের বাজার ঘুরে এমনটাই দেখা গেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, চড়া দামের কারণে সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে মুরগি কেনায় আগ্রহ কমে গেছে। ফলে দাম কমাতে বাধ্য হচ্ছেন পাইকাররা। এতে কিছুটা দাম কমেছে ব্রয়লার মুরগির। গরুর মাংসের দাম গত সপ্তাহের মতোই, এলাকাভেদে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি।
ছাগলের মাংস এক হাজার থেকে এক হাজার ১০০ টাকা কেজি। ঈদের আগে থেকেই এ রকম বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা ডজন। দেশি মুরগির ডিম ২৪০ টাকা ডজন এবং হাঁসের ডিম ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা ডজন বিক্রি হতে দেখা গেছে। গত সপ্তাহের চেয়ে এখন কিছুটা কম দামে বিক্রি হচ্ছে আদা, রসুন ও আলু।
দেশি রসুনের কেজি ১৮০ টাকা, আমদানি করা রসুন বাজারভেদে বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়। আদা গত সপ্তাহে ছিল ২৪০ টাকা, এখন বাজারভেদে বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি, আলু ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি।
কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, চালের দাম গত সপ্তাহের মতোই আছে। বাজারে দেখা গেছে, আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৬-৫৭ টাকা কেজিতে। একইভাবে পাইজাম ৫৪-৫৫ টাকা, মিনিকেট ৭২-৭৪ টাকা, নাজিরশাইল ৭৮-৭৯ টাকা। চিনিগুঁড়া চাল ১২০-১৪০ টাকা, বাসমতী ৮০ টাকা, কাটারি আতপ ৬৫-৬৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে রাজধানীর অন্যান্য এলাকায় এই দামের চেয়ে দুই-তিন টাকা পার্থক্য দেখা গেছে।
গত সপ্তাহের চেয়ে টমেটো, ঢেঁড়স ও শসার দাম কিছুটা কম দেখা গেছে। কারওয়ান বাজারে ঢেঁড়স, টমেটো ও পটোল ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। চিচিঙ্গা, করলা ও সাদা বেগুন ৫০ টাকা, কালো বেগুন ও বরবটি ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। সজনে এখনো ১০০-১১০ টাকা। তবে এই বাজারে অন্যান্য এলাকার চেয়ে কিছুটা কম দামে পাওয়া যায়।