প্রকাশ: বুধবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৪, ৪:৫৭ অপরাহ্ন
ঈদ ঘিরে আবারও অস্থির মাংসের বাজার। গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৪০-৫০ টাকা আর খাসির মাংস কেজিতে ১০০-১৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে গেছে। ঈদের আগে মুরগি ও সব ধরনের মসলার দামও চড়া বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
আজ বুধবার বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, মাংস কিনতে আসা ক্রেতারা বাড়তি দাম নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছেন। তবে মুরগি ও গরুর মাংসের দোকানের সামনে ক্রেতার ভিড় দেখা গেছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে শুধু মাংসই নয়; চাল, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, আলু ও মসলাজাতীয় পণ্যসহ প্রায় সব নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে।
বাজার ঘুরে আরও দেখা যায়, প্রতি কেজি গরুর মাংস ৮০০ টাকা, খাসির মাংস ১১৫০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা বলছেন, দুদিন আগেও একই বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০-৭৬০ টাকা আর খাসির মাংস ১০০০ বা ১১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে প্রায় ৪০-৫০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগি ২৫০-২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৭০-৩৮০ টাকা কেজি দরে। আর লেয়ার মুরগির কেজি বেড়ে হয়েছে ৩৫০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ২৮০-৩০০ টাকা।
দাম বাড়ার কারণ হিসেবে বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদা বেশি থাকায় খামারিরা মুরগির দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে গরু কিছুটা কম আসায় মাংসের দাম বেড়ে গেছে।
তাদের যুক্তি, ঈদে গরু ও মুরগির মাংসের চাহিদা বেশি থাকে। বাড়তি চাহিদার কারণে বাজারে দামও একটু বেড়ে যায়। ঈদের পর দাম আবার স্বাভাবিক হবে।
মাংসের দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মসলার দাম। প্রতি কেজি এলাচ ২৮০০ টাকা, দারুচিনি ৫০০ টাকা, লবঙ্গ ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব মসলার দাম কেজিপ্রতি ১০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।