প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬:৪৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬:৪৮ অপরাহ্ন
বিনা টিকিটের যাত্রী ঠেকাতে কমলাপুর স্টেশনে তিন স্তরে বাঁশের বেড়া বসিয়েছে রেলওয়ে। তবে শেষ সময়ে বাঁশ থেরাপি কাজে আসেনি। গতকাল সোমবার রাত থেকে উত্তরবঙ্গ এবং ময়মনসিং হয়ে চলা ট্রেনে উপচেপড়া ভিড়। ছাদে উঠছেন শত শত যাত্রী। মঙ্গলবারও এ ধারা অব্যহত রয়েছে। ভিড়ের চাপে টিকিটধারী অনেক যাত্রী ট্রেনে উঠতে পরছেন না। উঠতে পারলেওে নিজের আসনে যেতে পারেননি।
উত্তরাঞ্চলগামী একতা এক্সপ্রেস ও রংপুর এক্সপ্রেসের ট্রেনগুলোর বগিতে তিল ধারণের ক্ষমতা না থাকায় যাত্রীদের ছাদে উঠতে দেখা যায়। আধাঘণ্টা বিলম্বে বেলা ১১টার দিকে ছাদবোঝাই যাত্রী নিয়ে কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে যায় রংপুর এক্সপ্রেস। যাত্রীর চাপে ধীরগতিতে চলছে ট্রেনটি। বেলা ৩টায় পাওয়া খবর অনুযায়ী, ট্রেনটি যমুনার বঙ্গবন্ধু সেতুর পূবপ্রান্তে রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল ১০টার পরপরই কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে আসে দিনাজপুর হয়ে পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস। আগে থেকেই হাজার হাজার যাত্রী অপেক্ষায় ছিলেন ট্রেনটির। উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা যাত্রীরা নামার আগেই অপেক্ষমাণ যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করে উঠতে শুরু করেন। নামতে না পেরে চাপে পড়ে নারী-শিশুকে চিৎকার ও কান্নাকাটি করতেও দেখা যায়। শত শত মানুষ বেষ্টনী পেরিয়ে স্টেশনে ঢুকে ট্রেনের ছাদে চড়েন।
মো. রাসেল নামের এক ব্যক্তি জানান, তিনি থাকেন যাত্রাবাড়ীতে। কাজ করে ছাপাখানায়। অনলাইনে টিকিট পাননি। স্ট্যান্ডিং টিকিটও পাননি। বাসে যেতে অনেক খরচ, তাই ট্রেনের ছাদে যাচ্ছেন। তার অভিযোগ, শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করে রেলওয়ে, শুধু ধনী ও শিক্ষিতদের সুবিধা করে দিয়েছে। তার মতো গরিব এবং প্রযুত্তি ব্যবহারে অজ্ঞরা টিকিটই পাচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে ছাদে যাচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আগের কয়েকদিন বাধা দিলেও সোমবার রাত থেকে পুলিশ এবং রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীও কড়াকড়ি করছে না। কয়েক ক্ষেত্রে দেখা গেলে পুলিশ যাত্রীদের সহায়তা করছে ছাদে উঠতে। সালমা আক্তার নামে এক যাত্রী রংপুর এক্সপ্রেসের ছাদে উঠার চেষ্টা করছিলেন। তিনি জানালেন, ভেতরে পা ফেলার জায়গা নেই তাই ছাদই ভরসা।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার বলেন, শেষ সময়ে ঠেকানো যাচ্ছে না যাত্রীদের। কলকারখানা ছুটির পর যাত্রীর চাপ অনেক বেশি। বাস্তবতার কাছে আইন অসহায়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অতিরিক্ত চাপ সামলাতে পারেনি।
স্টেশন ম্যানেজার বলছেন, সব ট্রেন সময় মেনে চলছে। তবে সরেজমিনে দেখা গেছে, আধা ঘণ্টা পর্ন্ত বিলম্বে যাচ্ছে আন্তঃন্গর ট্রেন। সকাল পৌনে ১০টার তিতাস কমিউটার যাত্রা করে দুপুর দেড়টার পর। ৯টা ৪৫ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও স্টেশন বোর্ডে বিলম্ব সময়ে ছাড়বে বেলা ১টা ১০ মিনিটে।