প্রকৃতপক্ষে আ. লীগ মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী একটি অপশক্তি: ফখরুল
প্রকাশ: শুক্রবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৪, ৪:৫৯ অপরাহ্ন
নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়ায় জিয়া হলের ছাদে থাকা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভেঙে ফেলা ‘ন্যাক্কারজনক’ উল্লেখ করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ শুক্রবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী শুধু গণতন্ত্রকেই যে ধ্বংস করেছে তা নয়, জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে ক্রমান্বয়ে দুর্বল করে যাচ্ছে। স্বাধীনতার ঘোষকের ম্যুরাল ভেঙ্গে ফেলার মধ্য দিয়ে আমাদের রক্তার্জিত জাতীয় স্বাধীনতাকে অপমান করা হলো।’
তিনি উল্লেখ করেন, ‘প্রকৃতপক্ষে আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী একটি অপশক্তি। দেশ পরিচালনায় সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে জনদৃষ্টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য সরকার এখন জুলুম—নির্যাতন, প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের সর্বনাশা খেলায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।’
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘মহান স্বাধীনতার ঘোষক সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীরউত্তম একাত্তরের রণাঙ্গনের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সেক্টর কমান্ডারই নন, একজন সুশাসক হিসেবেও তিনি সারা বিশ্বে সমাদৃত। তিনি ছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা।’
‘বর্তমান কতৃর্ত্ববাদী দখলদার সরকার চরম প্রতিহিংসাপরায়ণ বলেই নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ায় শহীদ জিয়া হলের ওপরে থাকা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ম্যুরালের অস্তিত্ব সহ্য করতে না পেরে দলীয় ক্যাডারদের দিয়ে ভেঙে ফেলেছে’, দাবি করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি এ ঘট্না জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়ায় প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নামে স্থাপিত একটি অডিটোরিয়াম ‘জিয়া হল’ নামে পরিচিত। অডিটোরিয়ামটি বর্তমানে পরিত্যাক্ত অবস্থায় রয়েছে। সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান জাতীয় সংসদে জিয়া হল ভেঙে সেখানে ছয় দফা মঞ্চ করার প্রস্তাবনা রাখেন। পরে নারায়ণগঞ্জের বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানেও এই হল ভেঙে নতুন করে ছয় দফা মঞ্চ, গ্যালারি, উন্মুক্ত স্থান নির্মাণের ঘোষণা দেন তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে এই হলের ছাদে ম্যুরালটি ভেঙে ফেলা হয়। বিএনপির স্থানীয় নেতাদের দাবি, ‘এটি একটি পরিকল্পিত ঘটনা। সরকারি দলের পরিকল্পনায় এই ম্যুরাল ভেঙে ফেলা হয়েছে।’ এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক বলেছেন, ‘জিয়া হল পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তবে ম্যুরাল ভাঙার কোনও উদ্যোগ আমরা নিইনি। এটা কারা করেছে তা তদন্ত করে দেখা হবে।’