নির্বাচনের আগে উনি (নিপুণ আক্তার) কী কী বলেছে তা আপনাদের সবারই জানা। প্রধানমন্ত্রীকে আনবে, ছয়টি সিনেমা করবে কোননোটাই হয়নি। এমন কী করেছে দেখান তো। তবে কিছু কাজ করেছে ভোটার তালিকায় অর্ধেকের বেশি নম্বর ভুল দিয়ে রেখেছে। ভুল নম্বর কেন উঠবে? ভুল দেয়ার কারণ, আমরা যাতে কাউকে না পাই। আপনারা চেক করলেই প্রমাণ পাবেন।
নির্বাচন হবে, জয় পরাজয় আছে। ভালো কিছু করার জন্যই নির্বাচনে এসেছি। কিছু খাওয়ার জন্য আসিনি। জীবনভর দিয়েছি। এবারও যা লাগবে দেব। কিন্তু ভালো কিছু আশা করি। আসন্ন শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়ন ফরম ক্রয় করে কথাগুলো বলেছেন অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল।
এই অভিনেতা বলেন, টাকা দিয়ে ভোট কেনা বন্ধ করা উচিৎ। যারাই এই কাজ করেছে তাদের উচিৎ এটা বন্ধ করা। আমাদের মানুষ অস্বচ্ছল থাকতে পারে, টাকা চাইতে পারে কিন্তু এভাবে না। কিছু টাকায় বিক্রি যারা হন, তারা এই টাকা কয়দিন খাবেন? তারপর কী করবেন? আমার কথা টাকার দিকে না তাকিয়ে দেখেন সমিতির কিসে ভালো হবে। ফিল্মের উন্নয়ন নিয়ে ভাবুন।
সিনেমাপাড়ায় নির্বাচন না হওয়া কিংবা বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে এমন গুঞ্জন শোনা যায়! বিষয়টি নিয়ে ডিপজল বলেন, যদি কোর্ট বন্ধ করে সেখানে আমি বলার কেউ না। কিন্তু কেন বন্ধ করবে? এটা নিয়ে কি কোনো মামলা হয়েছে? হয়নি। তাহলে কেন বন্ধ হবে? মামলা হবে, মামলা হলে উনারা (বিপরীত পরিষদ) এসে চেয়ারে বসবে? এত সহজ না!
যোগ করে তিনি আরও বলেন, বসছে তো দুই বছর ফাও, মামলা চলমান সময়েও উনি (নিপুণ) সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসছে, এটা অবৈধ। কীভাবে বসে? উনি কী নির্বাচিত? সেই মামলা এখনও চলমান। যদি লজ্জা থাকত এটা করত না। মেয়েটা যাই বলেছে উল্টো পেয়েছি, আমি ভালো কিছু পাইনি, আশাও করি না। দোয়া করি সে ভালো থাকুক, সুস্থ থাকুক।
নতুন সিনেমার কাজের বিষয়ে ডিপজল বলেন, আমি নিয়মিত সিনেমা প্রযোজনা করি। নির্বাচনের পর আরও সাত-আটটি সিনেমার কাজ শুরু করব। যেগুলো বিগ বাজেটের সিনেমা হবে, ভিন্ন দেশ থেকে অভিনয়শিল্পীরাও আসবে। নতুনত্ব কিছু চমক দেখাব। আপনারা পাশে থাকেন ভালো কিছু দেখতে পাবেন।
আসছে ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচনে মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল এবং মাহমুদ কলি ও নিপুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।