আজ শুক্রবার আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপ-কমিটির পক্ষ থেকে ইফতার সামগ্রী ও ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, জামিন পেয়ে বিএনপি নেতারা একে একে বের হয়ে এসেছে।
এসময় বিএনপির কতজন নেতাকর্মী নিগৃহীত আছেন সেই তালিকা প্রকাশ করতে বলেছেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম বলেন, এ সরকারের আমলে তাদের ৮০ ভাগ নেতাকর্মী নিগৃহীত নির্যাতিত হয়েছেন। এসব মিথ্যাচার থেকে বিরত থাকুন। প্রকাশ্যে এসে তালিকা প্রকাশ করুন। জামিন পেয়ে নেতারা একে একে বের হয়ে এসেছে। সুতরাং এ ৮০ ভাগ নেতাকর্মীর তালিকা প্রকাশ করুন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনের আগে বিএনপি বিদেশি শক্তির তাঁবেদারি করেছে। বিদেশি শক্তিকে ডেকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছে। নির্বাচনের পর সংকট কাটিয়ে ভালোর দিকে যাচ্ছে দেশ। বিশ্ব সংকটের মধ্যেও দেশের মানুষ ভালো আছে। বিএনপি নেতিবাচক রাজনীতি জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের অবস্থান সংকুচিত হয়ে এসেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বড় বড় হোটেলে বিএনপি ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আওয়ামী লীগ ইফতার পার্টি করে না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে যারা অসহায় নিরীহ মানুষ সংকটে আছে তাদের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করিনি বিএনপির এমন বক্তব্যের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আসলে বিএনপি পাকিস্তানের সঙ্গে কখনো সম্পর্ক ছিন্ন করে নাই। বিএনপি হৃদয় পাকিস্তান, চেতনায় পাকিস্তান। আর আওয়ামী লীগ কোনো বিদেশি শাসন, কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের দাসত্ব করে না। আমাদের হৃদয়ে বাংলাদেশ, চেতনায়ও বাংলাদেশ। সেটাই আমরা মনে প্রাণে ধারণ করি।
তিনি বলেন, আজকে বিএনপির চারদিকে অন্ধকার। শেখ হাসিনার উন্নয়ন বিএনপির রাজনীতিতে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। এ অন্ধকার গর্ত থেকে তারা বের হতে পারছে না।
তিনি আরও বলেন, মির্জা ফখরুলকে বলব, ৮০ ভাগ নেতাকর্মী নিগৃহীত হচ্ছে বলেন, এসব মিথ্যাচার থেকে বিরত থাকুন। প্রকাশ্যে এসে তালিকাটা দিন। ৮০ ভাগ নেতাকর্মী তারা কারা? মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু সবাই তো একে একে জেল থেকে বের হয়ে গেলেন।
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী।