প্রকাশ: শুক্রবার, ২২ মার্চ, ২০২৪, ৯:১২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: শুক্রবার, ২২ মার্চ, ২০২৪, ৯:১৩ অপরাহ্ন
কম দামে গরুর মাংস বিক্রি করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন রাজধানীর উত্তর শাহজাহানপুরের মাংস ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান। রমজান মাসের শুরু থেকেই তিনি ৫৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছিলেন গরুর মাংস।
ঘোষণা দিয়েছিলেন রমজান মাসের ২৫ তারিখ পর্যন্ত ৫৯৫ টাকা কেজি দরেই বিক্রি করবেন গরুর মাংস। কিন্তু ১০ রোজা শেষ হওয়ার আগেই তিনি মাংসের দাম কেজিপ্রতি ১০০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বিকেলে মাংসের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন খলিলুর রহমান।
বতিনি বলেন, খামার থেকে যে দামে গরু কিনতে হচ্ছে, তাতে ৫৯৫ টাকা দরে মাংস বিক্রি করে পোষাতে পারছিলাম না। লোকসানে পড়তে হচ্ছে। ক্রেতাদের ভিড় অনেক। বাধ্য হয়ে মাংসের দাম কেজিতে ১০০ টাকা বাড়াতে হয়েছে। এখন থেকে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬৯৫ টাকায় পাওয়া যাবে।
লোকসানে পড়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে কিছুটা কম দামে গরু কিনতে পারছিলাম। কিন্তু এখন আর আগের দামে গরু পাচ্ছি না। আমার নিজের যেহেতু খামার নেই, তাই বাড়তি দামে গরুর কেনা হলে মাংসের দাম না বাড়িয়ে উপায় থাকে না।
উল্লেখ্য, বাজারে যখন ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছিল, তখন খলিলুর রহমান ৫৯৫ টাকায় মাংস বিক্রির ঘোষণা দেন। এরপর ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে খলিল গোস্ত বিতান থেকে রমজানের শুরুর দিন থেকে মাংস কিনেছেন।
রোজার শুরু থেকে বাজারের চেয়ে কম দামে গরুর মাংস বিক্রি করে ব্যাপক সাড়া পান খলিলুর রহমান। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর সম্প্রতি বিশ্ব ভোক্তা দিবসের অনুষ্ঠানে এই ব্যবসায়ীকে ‘ব্যবসায় উত্তম চর্চার স্বীকৃতি’ দিয়ে পুরস্কৃত করেছে।