প্রকাশ: শুক্রবার, ২২ মার্চ, ২০২৪, ৫:২২ অপরাহ্ন
ফেসবুক সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট থাকলে সেই ছাত্রীকে স্কুল থেকে বের করে দেয়া হবে। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের পশ্চিম বঙ্গের বারাসতের কালীকৃষ্ণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
দ্য ওয়াল জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমী সেনগুপ্ত শিক্ষার্থীদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জানান, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও এক্সসহ তিন ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনও ছাত্রীর কোনও অ্যাকাউন্ট থাকবে না। এই কথা অমান্য করলে বিদ্যালয় থেকে ছাত্রীকে বের করে দেওয়া হবে।
প্রধান শিক্ষিকার এই নির্দেশ জানার পরেই আলোড়ন পড়ে যায়। ছাত্রীদের একটা বড় অংশই অবশ্য এই ব্যাপারে প্রধান শিক্ষিকার পাশে দাঁড়িয়েছে। হোয়াটস-অ্যাপ গ্রুপে প্রধান শিক্ষিকার এই নির্দেশ পাওয়ার পরই যাদের অ্যাকাউন্ট ছিল, তারা তড়িঘড়ি অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে।
ক্লাস নাইনের এক ছাত্রী জানায়, 'ঠিক কাজ করেছেন বড়দি (প্রধান শিক্ষক)। আমাদের মতো ছোট বয়সে কারও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট থাকা উচিৎ নয়।' তবে তার কেন অ্যাকাউন্ট ছিল, সেই প্রশ্নের উত্তরে ওই ছাত্রী বলে, 'কতটা ক্ষতি হতে পারে আমি বুঝতে পারিনি। ছোট ছিলাম।'
অভিভাবকরাও স্কুলের এই নির্দেশে খুশি। তারা বলেন, 'এমন নির্দেশ খুবই জরুরি ছিল। ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগে কোনও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কারও অ্যাকাউন্ট খোলা উচিৎ নয়। স্কুলে পড়ার বয়সে কারও কোনও ম্যাচিওরিটি থাকে না। ভুল পথে যাওয়ার সমস্ত সম্ভাবনা থাকে। ছোটদের ভালর কথা ভেবে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাকে স্বাগত জানাচ্ছি।'
স্কুলের ছাত্রী ও অভিভাবকরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও সমালোচনা করছেন নেটিজেনরা। বিষয়টিকে অবশ্য গুরুত্ব দিতে নারাজ কালীকৃষ্ণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমী সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, 'যা করেছি আমার মেয়েদের সুন্দর ভবিষ্যতের কথা ভেবে করেছি। তবে এটা আমার একার সিদ্ধান্ত নয়, এটা স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত।
এটা ঠিক, বিষয়টি আমিই তাদের মাথায় ঢুকিয়েছি। কারণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকের গতিবিধি আমার ভাল লাগেনি। এতে তাদের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। সব চিন্তা করেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।'