১২৫ সিসির বাইকের বাজার সবচেয়ে বড়। কেননা, এই কমিউটার সেগমেন্টের বাইকের জ্বালানি ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কম। এসব বাইকের দামও হাতের নাগালে। তাই, দিনকে দিন বেড়েছে ১২৫ সিসির বাইকের চাহিদা। কয়েকটি মডেল ১২৫ সিসির বাজারে রাজত্ব করছে। জানুন এসব মডেল সম্পর্কে।
হিরো এক্সট্রিম ১২৫ আর
সদ্য হিরো এক্সট্রিম ১২৫আর এবং হিরো ম্যাভরিক ৪৪০ লঞ্চ করেছে। যার মধ্যে এক্সট্রিম ১২৫ আর মডেল দারুণ সাড়া ফেলেছে বাজারে। প্যাশন, স্প্লেন্ডরের মতো মোটরসাইকেলকে পেছনে ফেলে ব্র্যান্ডের বেস্ট সেলিং বাইক এখন এক্সট্রিম ১২৫। এই মোটরসাইকেলে রয়েছে ১২৪ সিসির ইঞ্জিন। যা সর্বাধিক ১১.৪ হর্সপাওয়ার এবং ১০.৫ এনএম টর্ক তৈরি করতে পারে। বাইকে রয়েছে এলসিডি ডিসপ্লে এবং ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি। মিলবে সিঙ্গেল চ্যানেল অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম এবং ডিস্ক ব্রেক।
হোন্ডা এসপি ১২৫
জাপানি হোন্ডার জনপ্রিয় কমিউটার মোটরসাইকেল এসপি ১২৫। এই বাইকটি দেশে নতুন ফিচার ও গ্রাফিক্সে হাজির হয়েছে। মডেলটি এফআই ইঞ্জিন পেয়েছে। এটি বিএস-৬ স্ট্যান্ডার্ড। আগের ভার্সনে ছিল কার্বুরেটর ইঞ্জিন। নতুন ভেরিয়েন্টের দামও বেড়েছে।
নতুন হোন্ডা এসপি ১২৫ মডেলটি উন্নত স্মার্ট পাওয়ার সমৃদ্ধ মোটরসাইকেল। এতে রয়েছে বিভিন্ন ফাস্ট ইন সেগমেন্টের প্রযুক্তি, প্রিমিয়াম স্টাইল, লম্বা ও আরামদায়ক সিট। নতুন ওবিডি ২ কমপ্লায়েন্ট এসপি ১২৫ এক লিটার জ্বালানিতে ৬৮ কিলোমিটার মাইলেজ দেবে।
এসপি ১২৫ মডেলের নতুন ভার্সনটি সম্পূর্ণ নতুন গ্রাফিক্স লুকে বাজারে হাজির করা হয়েছে। এতে সম্পূর্ণ ডিজিটাল মিটার দেওয়া হয়েছে। এই মিটার কনসোলে বিভিন্ন ফিচারের মধ্যে রয়েছে ইকো ইন্ডিকেটর, রিয়েল টাইম মাইলেজ, এভারেজ মাইলেজ, ডিসট্যান্স টু এম্পটি, সার্ভিস ভিউ ইন্ডিকেটর, ওয়াচ এবং গিয়ার ইন্ডিকেটর।
বাড়তি সুবিধার জন্য রয়েছে ইন্টিগ্রেটেড ইঞ্জিন স্টার্ট/স্টপ সুইচ। যা এই সেগমেন্টে নতুন। এছাড়াও বাইকটি সাইড স্ট্যান্ডে রাখলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাবে।
বাইকটির চাকা বেশ প্রশস্ত। যা উন্নত গ্রিপসহ এসেছে। বাইকটিতে মনোমুগ্ধকর গ্রাফিক্সসহ ডায়নামিক ফুয়েল ট্যাংক ব্যবহৃত হয়েছে। এছাড়াও আছে এলইডি ডিসি হেডল্যাম্প ও ৫ স্পোক স্প্লিট অ্যালয় হুইল। এর চেইন সিলড। যার ফলে রক্ষণাবেক্ষণ কম করতে হবে।
এসপি ১২৫ বিএস ৬ ভার্সনের বাইকে ইন্ট্রিগ্রেটেড সুইচ ব্যবহৃত হয়েছে। অর্থাৎ এক সুইচেই নানাবিধ কাজ করা যাবে।
চালক ও আরোহীকে নিরাপদ রাখতে মডেলটিতে দেওয়া হয়েছে কম্বি ব্রেকিং সিস্টেম। অর্থাৎ ফুট প্যাডেল ব্রেক চাপলেই উভয় ব্রেক কার্যকর হবে।
হোন্ডার নতুন এই বাইকে ভিসকাস এয়ার ফিল্টার দেওয়া হয়েছে। যা পরিষ্কার করা ছাড়াই একটানা চালানো যাবে। ডিসি সিস্টেম চালুর জন্য রয়েছে মেইনটেনেন্স ফ্রি ১২ ভোল্টের ব্যাটারি।
বাইকটির ইঞ্জিনের শক্তি চাকায় ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ৫ স্পিড ট্রান্সমিশন বা গিয়ার দেওয়া হয়েছে।
চারটি ভিন্ন ভিন্ন রঙে হোন্ডা এসপি ১২৫ বিএস ৬ এফআই কেনা যাবে ১ লাখ ৬৩ হাজার টাকায়।
বাজাজ পালসার ১২৫
১২৫ সিসি সেগমেন্টে জনপ্রিয় বাইক বাজাজ পালসার ১২৫ মডেল। বাজাজ পালসার এনএস১২৫ বাইকে রয়েছে ১২৪ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার এয়ার কুলড। এই ইঞ্জিন যা সর্বাধিক ৮.৮২ কিলোওয়াট শক্তি এবং ১১ নিউটন মিটার টর্ক তৈরি করে। সঙ্গে রয়েছে ৫ স্পিড গিয়ারবক্স। এই বাইকেরও সামনের চাকায় রয়েছে টেলিস্কোপিক ও পেছনে মনোশক সাসপেনশন। সামনে রয়েছে ডিস্ক ব্রেক ও পিছনে ড্রাম ব্রেক। দুই বাইকে পাবেন না কোনও অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম বা এবিএস।
টিভিএস রেইডার ১২৫
টিভিএস রাইডার ১২৫ মডেলে রয়েছে ১২৪ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন। যা সর্বোচ্চ ১১.২ হর্সপাওয়ার শক্তি এবং ১১.২ এনএম টর্ক তৈরি করে। সঙ্গে রয়েছে ৫ স্পিড গিয়ারবক্স। বাইকের সামনে রয়েছে ডিস্ক ব্রেক ও টেলিস্কপিক ফর্ক এবং পেছনে রয়েছে ড্রাম ব্রেক মনোশক সাসপেনশন।