প্রকাশ: সোমবার, ১৮ মার্চ, ২০২৪, ৫:১৭ অপরাহ্ন
রোজা রাখার উদ্দেশ্যে শেষরাতে ঊষা উদয়ের আগে যে পানাহার করা হয়, তা-ই সেহেরি। সেহেরি খাওয়া সুন্নত। এতে আল্লাহ তাআলা বরকত রেখেছেন। আল্লাহর রাসুল (স.) বলেছেন, ‘তোমরা সেহরি খাও, সেহরিতে বরকত রয়েছে।’ (সহিহ মুসলিম: ২৪২০, বুখারি: ১৮০১)
এছাড়াও হাদিস অনুযায়ী ‘আমাদের রোজা ও আহলে কিতাবের রোজার মধ্যে পার্থক্য হলো সেহেরি খাওয়া।’ (মুসলিম: ১০৯৬; আবু দাউদ: ২৩৪৩)
অর্ধরাতের পর থেকে ফজরের আগ পর্যন্ত সেহেরি খাওয়ার সময়। সুবহে সাদিকের কাছাকাছি সময়ে সেহেরি খাওয়া মোস্তাহাব। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘সকল নবীকে সময় হওয়ার পরপরই (তাড়াতাড়ি) ইফতার করতে এবং শেষ সময়ে সেহেরি খেতে আদেশ করা হয়েছে।’ (আলমুজামুল আওসাত: ২/৫২৬; মাজমাউজ জাওয়ায়েদ: ৩/৩৬৮)
সেহেরি পেট ভরে খাওয়া জরুরি নয়, এক ঢোক পানি পান করলেও সেহেরির সুন্নত আদায় হয়ে যায়। এ প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘এক ঢোক পানি দিয়ে হলেও সেহেরি করো। কারণ যারা সেহেরি খায়, আল্লাহ তাআলা তাদের উপর রহমত বর্ষণ করেন এবং ফেরেশতারা তাদের জন্য রহমতের দোয়া করেন।’ (মুসনাদে আহমদ: ৩/১২; মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ৯০১০; সহিহ ইবনে হিববান: ৩৪৭৬)
তবে সেহরি না খেলেও রোজা হবে। রোজা সহিহ হওয়ার জন্য সেহরি খাওয়া আবশ্যক নয়, শর্তও নয়। তাই কেউ যদি গভীর ঘুমের কারণে ভোররাতে উঠতে না পারে এবং সেহেরি না খেয়ে রোজা রাখে, তাহলে তার রোজা হয়ে যাবে।
তবে মনে রাখতে হবে- যেহেতু সেহরি খাওয়া সুন্নত ও বরকতময়, অন্তত শেষ সময়ে উঠে এক গ্লাস পানি খেয়ে হলেও সেহেরি সম্পন্ন করা উত্তম। আল্লাহ তাআলা আমাদের সেই তাওফিক দান করুন। আমিন।