দেশের রেস্টুরেন্ট খাতে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান রক্ষা করার জন্য সবার সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি।
অন্যথায় আগামী ২০ মার্চ মানববন্ধন করার ঘোষণা দিয়েছেন সংগঠনটি। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেয়া হবে বলেও জানানো হয়। আজ সোমবার দুপুর ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন সংগঠনটির মহাসচিব ইমরান হাসান।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা বলেন, রাজধানীর বেইলি রোডে রেস্তোরাঁয় অগ্নিকাণ্ডের পর অভিযানের নামে সরকারি সংস্থাগুলো চাঁদাবাজি করছে। রেস্তোরাঁ মালিকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে যে সংস্থা যেভাবে পারছে চাঁদাবাজি করছে। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত সংস্থা বলে অভিযোগ করেন তারা।
বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামের বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে যে সংকটের সৃষ্টি হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি বিভিন্ন সংস্থা কর্তৃক অভিযানের নামে রেস্তোরাঁ সেক্টরে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টির প্রতিবাদে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান।
এতে বলা হয়, ‘সরকারি বিধি অনুযায়ী কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হলে কমপক্ষে ছয় মাস আগে নোটিশ দিতে হয়। বিনা নোটিশে এভাবে ভাঙচুর করে, বন্ধ করে দিচ্ছে রেস্তোরাঁ। রাজউকের এফ-১ ও এফ-২–এর নামে যে নৈরাজ্য চলছে, তা কোনোভাবেই কাম্য না। আমরা জানি, কমার্শিয়াল স্পেসে রেস্তোরাঁ ব্যবসা করা যাবে। রাজউকের ২০২২-২০৩৫ সাল পর্যন্ত ড্যাপেও ব্যবসায়ীদের ভবনের মিশ্র ব্যবহারে উৎসাহিত করা হয়েছে।’
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, সরকারি পদ্ধতির জটিলতার কারণে লাইসেন্স নেয়া সময়সাপেক্ষ ও জটিল বিষয়। লাইসেন্স গ্রহণের প্রক্রিয়া জটিল করে অসাধু উপায়ে নিতে বাধ্য করা হয়। দেশের সব রেস্তোরাঁ সেবাকে একটি সংস্থার অধীনে এনে লাইসেন্স প্রদান করার দাবি জানায় বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। লাইসেন্স করতে হলে এমন কিছু নথি চাওয়া হয়, যা বাস্তবসম্মত নয় বা প্রদান করাও সম্ভব নয় বলেন তারা।
ইমরান হাসান বলেন, ‘অভিযানের নামে মালিকদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। যে যেভাবে পারছে চাঁদাবাজি করছে।’
তিনি বলেন, রাজউক দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত সংস্থা। তাদের ব্যর্থতার দায় ব্যবসায়ীদের ঘাড়ে চাপালে হবে না। যারা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না প্রশ্ন তোলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি ওসমান গণি বলেন, ‘ট্রেড লাইসেন্স দিলেন, বাণিজ্যিক হারে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির বিল নিচ্ছেন। পাঁচ বছর ধরে ব্যবসা চলছে, এত দিন দেখলেন না? এখন কোনো নোটিশ না দিয়ে ভেঙে ফেলছেন, বন্ধ করছেন। এটা অমানবিক।’