প্রকাশ: শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০২৪, ৫:৪৫ অপরাহ্ন
চার বছরে ৪ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি, পাকিস্তানি ও আফগানিকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মূলত আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে যাওয়া থেকে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের এসব মানুষ ভারতের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। ভারতীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, ২০২২ সালে সবচেয়ে বেশি সংখ্যালঘুকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। খবর: এনডিটিভির
সম্প্রতি পাশ হওয়া সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ২০১৯-এর বিধিগুলো এ তিন দেশ থেকে যাওয়া বাস্তুচ্যুত লোকদের নিবন্ধন ও স্বাভাবিকীকরণের মাধ্যমে আটকে থাকা নাগরিকত্বের বিষয়গুলোর কাজ আরও দ্রুত সারতে সাহায্য করবে বলে মন্তব্য করেন কর্মকর্তারা।
কেন্দ্রীভূত প্রক্রিয়ার কারণে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নাগরিকত্ব দেওয়ার সংখ্যা কম ছিল। এরপর ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রথমে ২০১৬ সালে এবং তারপর ২০২১-২২ সালে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টরদের ছয়টি সম্প্রদায়ের সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ক্ষমতা দেয়।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, মোট ৩১টি জেলার কালেক্টর এবং নয়টি রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবদের নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে নাগরিকত্ব দেওয়ার ক্ষমতা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এর মধ্যে রয়েছে ছত্তিশগড়, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লি। এখন পর্যন্ত, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোর কালেক্টর, জেলা এবং স্বরাষ্ট্র সচিবদের নাগরিকত্ব দেয়া ব্যক্তিদের একটি রেজিস্টারে তথ্য রাখতে হয়। আর নাগরিকত্বের নিবন্ধন বা স্বাভাবিকীকরণের সাত দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে একটি অনুলিপি পাঠাতে হয়।