প্রকাশ: শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০২৪, ৩:৫৯ অপরাহ্ন
আজ শুক্রবার নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের পরে ডামি সরকার নতুন দুরভিসন্ধিতে লিপ্ত রয়েছে। আবারও তারা টার্গেট করেছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ জিয়া পরিবারকে। গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করে বা কবজায় নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচারের গোলক ধাঁধায় শুরু করেছে বানোয়াট প্রোপাগান্ডা। তারেক রহমানের সফল নেতৃত্বের যে তরঙ্গ সারাদেশব্যাপী গণতন্ত্রকামী মানুষকে আন্দোলিত করেছে সেটি শেখ হাসিনা কোনোভাবেই সহ্য করতে পারছে না।
তিনি আরও বলেন, নিজ দলের লুটপাট, সম্পদ পাচার, দখল, রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার আওয়ামী নেতাদের গল্প যে ‘আলিফ লায়লা’র গল্পকেও হার মানাচ্ছে সেটি শেখ হাসিনা পরিকল্পিতভাবে এড়িয়ে যান।
রিজভী বলেন, এই রমজানে ক্ষুধার্ত ক্ষুব্ধ মানুষের হাহাকারের ‘এসওএস বার্তা’ শেখ হাসিনা কি শুনতে পান? জনগণের কল্যাণ সাধন এদের লক্ষ্য নয়। এরা ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের পর তারা দেশ ও দেশের জনগণকে মহাসংকটে ফেলে একটি মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করছে। সেটি হলো- বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করা।
বিএনপির এই নেতা বলেন, এটি নিশ্চয়ই সংবাদপত্রগুলোর মনে থাকার কথা। সুতরাং এখন যারা শেখ হাসিনার নব্য বাকশালের রুদ্র শাসনের মুখপাত্র হয়েছেন, ইতিহাস এদের ক্ষমা করবে না। অসত্য কখনোই টিকে থাকবে না।
রিজভী বলেন, ওবায়দুল কাদের যতই চিৎকার করুক, দেশবাসীর নিকট এটি প্রমাণিত যে, আওয়ামী লীগ সরকারের অপর নাম সিন্ডিকেট আর লুটপাট। কোনো কিছু সামাল দিতে না পেরে, সরকার নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এখন ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দিয়েছে ধর্মপ্রাণ মুসলমানের ইফতার ভাঙার কর্মসূচিতে।
তিনি আরও বলেন, যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তখনই তারা মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাস, সংস্কৃতির ওপর আঘাত হানে এবং আলেম সমাজের ওপর নিপীড়ন নেমে আসে। এর কারণ প্রভুদেরকে খুশি করা।