প্রকাশ: শনিবার, ৯ মার্চ, ২০২৪, ৭:৪৪ অপরাহ্ন
দেশে কোনো না কোনো কিডনি রোগে ভুগছে প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ মানুষ। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে জীবনযাপন করলে ৫০ থেকে ৬৯ ভাগ কিডনি রোগ প্রতিরোধ সম্ভব। তবে এ রোগ প্রতিরোধের ঠিকভাবে বার্তা পায় না মানুষ।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বিশ্ব কিডনি দিবস-২০২৪’ উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে সরকারি কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এসব কথা বলেন। বৈঠকের আয়োজন করেন ‘কিডনি এওয়ারনেস মনিটরিং অ্যান্ড প্রিভেনশন সোসাইটি (ক্যাম্পস)।বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ক্যাম্পসের প্রতিষ্ঠা ও সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম এ সামাদ।
তিনি বলেন, কিডনি রোগের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। চিকিৎসা করতে গিয়ে পুরো পরিবার নিঃস্ব হয়ে যায়। অনেকে টাকার অভাবে চিকিৎসাও করাতে পারেন না। ফলে কিডনি রোগে আক্রান্ত অধিকাংশ মানুষের মৃত্যু হয়। এই অকাল মৃত্যু প্রতিরোধে ‘কিডনি সুরক্ষা বীমা’ চালু করা জরুরি।
ডা. সামাদ বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুসারে, ২০৪০ সালের মধ্যে ৫০ লাখের বেশি কিডনি বিকল রোগী সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করবে।
বর্তমানে ৮৫ কোটির বেশি মানুষ দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে আক্রান্ত। দুঃখজনক হলেও সত্য এর মধ্যে ৭৫ কোটি রোগী জানে না যে মরণঘাতী কিডনি রোগ নীরবে তাদের কিডনি নষ্ট করে চলেছে।
প্রতি বছর ১ কোটি ৩০ লাখ লোক আকস্মিক কিডনি বিকল রোগে আক্রান্ত হয়, যার ৮৫ ভাগই আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে। উন্নত দেশে কিডনি বিকলের চিকিৎসা করতে গিয়ে সরকার হিমশিম খাচ্ছে।