শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ টি-টোয়েন্টি খেলতে আগামীকাল মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ১-১ সমতায় থাকা সিরিজে কাল লঙ্কানদের হারাতে পারলেই ইতিহাস গড়বে টাইগাররা। প্রথমবারের মত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সংক্ষিপ্ত সংস্করণে সিরিজ জয়ের স্বাদ পাবে লাল-সবুজের দল।
এদিকে আগামীকালের এই ম্যাচের আগে আজ সংবাদ সম্মেলনে এসে টাইগারদের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে জানিয়েছেন, শুধু চলমান সিরিজ নিয়েই ভাবছেন না তিনি, বরং আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়েও পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন তিনি।
হাথুরু বলেন, ‘আমরা বিশ্বকাপের জন্য সমন্বয় খুঁজছি। সেই সমন্বয়ে কে কেমনভাবে জায়গা করে নেয় এবং সেখানে কে কতটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে, সেটাও দেখছি।’ এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দুইটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে আমেরিকায়।
আমেরিকায় পিচ কেমন হবে তা নিয়ে কোনো পরিষ্কার ধারণা নেই, তবে সেখানকার উইকেট কেমন হতে পারে তা নিজের অস্ট্রেলীয় যোগাযোগ কাজে লাগিয়ে বের করার চেষ্টা করছেন টাইগারদের প্রধান কোচ। হাথুরু বলেন, ‘আমরা ভালো উইকেটে খেলতে চাই। আমি জানি না আমরা যুক্তরাষ্ট্রে কেমন উইকেট পাব।
আমাদের যুক্তরাষ্ট্রে দুটি ম্যাচ আছে, খুবই গুরুত্বপূর্ণ দুটি ম্যাচ। কারও কোনো ধারণা নেই, সেখানে উইকেট কেমন হবে। সেখানকার কোনো পরিসংখ্যান নেই। আমি জেনেছি, সেখানে ড্রপ ইন উইকেট থাকবে। অ্যাডিলেডে প্রস্তুত করে যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়া হবে। আশা করছি, অস্ট্রেলীয় উইকেট যেমন হয়, তেমনই হবে।’
হাথুরু একসময় কাজ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটের দল নিউ সাউথ ওয়েলসের হয়ে। এই নিউ সাউথ ওয়েলসেরই ওয়াশিংটন ফ্রিডম নামে একটি দল গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ ক্রিকেটে খেলেছে। তাই নিজের সাবেক কর্মস্থলের মাধ্যমেই আমেরিকার উইকেট কেমন হবে তা সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার চেষ্টায় আছেন হাথুরু।
আজ তিনি বলেন, ‘ডালাস, সেখানে কেমন হতে পারে, তা নিয়ে কিছুটা প্রতিক্রিয়া পেয়েছি নিউ সাউথ ওয়েলস থেকে। কারণ, সেখানে তাদের দ্য ওয়াশিংটন ফ্রিডম দলটা মেজর লিগে খেলে।
আমি যখন অস্ট্রেলিয়া ছিলাম, তখন ওদের জেনারেল ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা এসব অচেনা চ্যালেঞ্জ মাথায় রেখেই প্রস্তুতি নিচ্ছি যতটা সম্ভব। এরপর আমাদের ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেন্ট ভিনসেন্টেও খেলা আছে। যতটা মনে পড়ে সেখানে আমরা টেস্ট খেলেছিলাম। আমরা যতটা সম্ভব প্রস্তুতি নেওয়ার চেষ্টা করছি।’