বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
 

অবশেষে ইসরায়েল-হিজবুল্লাহর যুদ্ধবিরতি কার্যকর : বিভিন্ন দেশ স্বাগত জানিয়েছে     আমু-আনিসুল-কামরুল ফের রিমান্ডে    জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার দণ্ড থেকে খালেদা জিয়াকে খালাস    ভারতের ভিত্তিহীন বিবৃতিতে ঘটনার ভুল উপস্থাপন হয়েছে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়    চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তার নিয়ে বিকৃত তথ্য ছড়াচ্ছে ভারত: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়    অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার, বিচার নিশ্চিতের দাবি হাসনাত ও সারজিসের    চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ   
অগ্নিকান্ডে প্রাণহানির পর একে অপরকে দূষছেন সংশ্লিষ্ট সংস্থা
হতাহতের ঘটনায় ৭ সংস্থাকে দায়ী করলেন পরিবেশবাদীরা
অভিযান বাড়াবাড়ি, যাচাই করে অনুমোদন দেয়ার দাবি মালিক সমিতির
খন্দকার হানিফ রাজা:
প্রকাশ: বুধবার, ৬ মার্চ, ২০২৪, ৫:৪৫ অপরাহ্ন

রাজধানীর বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রিন কোজি কটেজের যেসব রেস্তোঁরাকে ট্রেড লাইসেন্স দেয়া হয়েছিল, এর কোনোটিতেই নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করা হয়নি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একে অপরকে দুষছে রাজউক ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।

এদিকে, অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে অনুমোদন দেয়া এবং তদারকির অভাবে ঘটে যাওয়া এই অগ্নিকান্ডে সংশ্লিষ্ট ৭ সংস্থাকে দায়ী করেছেন পরিবেশবাদীরা। দায়ী সংস্থাগুলো হলো, উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস, ওয়াসা, তিতাস, ডিপিডিসি/ডেসা, পুলিশ বাহিনী ও ভবন মালিক।

অগ্নিকাণ্ডের পর ভবনটির বাণিজ্যিক অনুমোদন ছিল না বলে দায়সারা বক্তব্য দিচ্ছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সংশ্লিষ্টদের দাবি, তারা যথাযথ নিয়ম মেনেই রেস্তোঁরাগুলোকে ট্রেড লাইসেন্স দিয়েছে। কিন্তু রাজউকই তার মুখ্য ভ‚মিকা পালন করেনি। এছাড়া এ ঘটনায় সরকারের অন্যান্য সংস্থারও দায় রয়েছে বলে মনে করেন তারা।

গতকাল ৫ মার্চ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘ভবন বিপজ্জনকতায় আচ্ছন্ন নগরী: প্রেক্ষিতে করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) ও বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বেলা) পক্ষ থেকে বলা হয় এদিকে, অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে অনুমোদন দেয়া এবং তদারকির অভাবে ঘটে যাওয়া এই অগ্নিকান্ডে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস, ওয়াসা, তিতাস, ডিপিডিসি/ডেসা, পুলিশ বাহিনী ও ভবন মালিক দায়ী।

গতকাল ৫ মার্চ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় রাজধানীর বিজয়নগরের বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত ‘সাম্প্রতিক সময়ে বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে রেস্তোঁরা শিল্পের সংকটের উত্তরণের উপায় এবং আসন্ন মাহে রমজানের পবিত্রতা বজায় রেখে রেস্তোরাঁ ব্যবসা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, অগ্নিকাণ্ডর দায় কেউ এড়াতে পারেন না। ঘটনার পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঢাকা শহরের বিভিন্ন রেস্তোঁরায় অভিযান চালিয়ে সিলিন্ডার গ্যাসের বোতল জব্দ করেছে এবং স্টাফদের গ্রেফতার করেছে। এটি সমস্যার সমাধান নয়, এটা একটু বাড়াবাড়িই বলা চলে। রেস্তোঁরা স্থাপনে ১০টি সংস্থার প্রত্যয়নপত্র প্রয়োজন। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অনাপত্তিপত্র, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেস্তোঁরা লাইসেন্স, সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের লাইসেন্স নিবন্ধন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের দোকান লাইসেন্স, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ই-ট্রেড লাইসেন্স, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ফায়ার লাইসেন্স, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পরিবেশগত ছাড়পত্র এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের অবস্থানগত ছাড়পত্র। আলোচনা করে এমন একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে যেন রেস্টুরেন্ট করার আগে যথাযথ কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দেবেন।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সভাপতি আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ঢাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষকে বসবাস করতে হয়, বিশ্বের আর কোনো শহরে এমন ঝুঁকি নেই। অথচ নগর পরিকল্পনা, ভবনের ডিজাইন, নির্মাণ ও ব্যবস্থাপনা, ভবনের ব্যবহার, ভবনের অগ্নি প্রতিরক্ষা, ফায়ার ড্রিল, ভবন মালিকের সচেতনতা ও দায়িত্বশীল আচরণ এবং নগর সংস্থাগুলোর নিয়মিত তদারকি থাকলে এ দুর্ঘটনা এড়ানো যেত। তাই এটিকে গাফিলতিজনিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা জরুরি। এ গাফিলতিতে জড়িত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় এর পুনরাবৃত্তি হতেই থাকবে বলে জানান তিনি।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. আক্তার হোসেন রিন্টু
বার্তা ও বাণিজ্যিক বিভাগ : প্রকাশক কর্তৃক ৮২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক (৩য় তলা) ওয়্যারলেস মোড়, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭।
বার্তা বিভাগ : +8802-58316172. বাণিজ্যিক বিভাগ : +8801868-173008, E-mail: dailyjobabdihi@gmail.com
কপিরাইট © দৈনিক জবাবদিহি সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft