প্রকাশ: শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৬:৫৩ অপরাহ্ন
আগামী মে মাসে ৪১ হাজার ফুট উঁচুতে উড়ে যাওয়া বিমান থেকে লাফ দেবেন বাংলাদেশের স্কাইডাইভার আশিক চৌধুরী। যেখানে তার পিঠে থাকবে প্যারাস্যুট আর হাতে থাকবে আমাদের গর্বের লাল-সবুজ পতাকা।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস গড়তে আশিকের এই প্রচেষ্টার নাম ‘দ্য লারজেস্ট ফ্ল্যাগ ফ্লোন স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার’। ভূপৃষ্ঠ ছাড়িয়ে ১০ থেকে ৬০ কিলোমিটারের মধ্যবর্তী জায়গাকে বলা হয় স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার।
রেকর্ড গড়তে যুক্তরাষ্ট্রের একটি এয়ারফিল্ডে গিয়ে প্রচেষ্টা চালাবেন বাংলাদেশের এই স্কাইডাইভার।
এই চেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রে কেন?
গণমাধ্যমকের এমন প্রশ্নের উত্তরে আশিক বলেন, ‘সাধারণত বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ ৩৫ হাজার ফুটের নিচ দিয়ে চলাচল করে। এর ওপরে উঠতে বিশেষায়িত বিমান দরকার হয়। সঙ্গে লাগে অনুকূল আবহাওয়া, যা এই এয়ারফিল্ডের আকাশে পাওয়া যায়।’
আশিক চৌধুরীর গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরে। তবে বাবার চাকরির সুবাদে তার বেড়ে ওঠা যশোরে। স্কুল-কলেজের পাট চুকিয়েছেন সিলেট ক্যাডেট কলেজে। এইচএসসি পাস করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটে (আইবিএ)। ২০০৭ সালে স্নাতক হয়েই যোগ দেন দেশের বেসরকারি একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে। যেখানে ২০১১ সাল পর্যন্ত চাকরি করেছিলেন।
আশিক চৌধুরীর প্রথমবার স্কাইডাইভিংয়ের স্বপ্নপূরণ হয় ২০১২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর। সেদিন যুক্তরাজ্যের ব্র্যাকলি শহরের হিনটন স্কাইডাইভিং সেন্টারে হাজির তিনি। জাম্পস্যুট, হেলমেট, প্যারাস্যুট, গগলসসহ যাবতীয় সুরক্ষাসামগ্রী পরে উঠে পড়লেন প্লেনে। সঙ্গে দুজন প্রশিক্ষিত স্কাইডাইভার। কয়েক হাজার ফুট ওপরে ওঠার পর একজন স্কাইডাইভার আশিককে সঙ্গে নিয়ে বিমান থেকে লাফ দেন।
এরপর ২০১৪ সালে ভর্তি হন একটি প্রাইভেট পাইলট প্রশিক্ষণ স্কুলে। এক বছর ধরে চলে প্রশিক্ষণ। এরপর একদিন ককপিটে বসেন আশিক। লন্ডন থেকে উড়োজাহাজ নিয়ে ছুটে যান পাশের এক শহরে। এভাবে পাইলটও বনে যান তিনি। সঙ্গে স্কাইডাইভিংয়ের শখতো রয়েছেই। সেই থেকে তার স্কাইডাইভিংয়ের নেশা। গত বছর স্কাইডাইভার হিসেবে লাইসেন্স পান আশিক চৌধুরী।