প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১২:৪৮ অপরাহ্ন
আবাসিক হল থেকে মাদকের সিন্ডিকেট উৎখাত ও হল থেকে অছাত্রদের বের করে দেওয়াসহ পাঁচ দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নতুন প্রশাসনিক ভবনে (রেজিস্ট্রার ভবন) প্রতীকী অবরোধ করেছে ধর্ষণকাণ্ডে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘নিপীড়নবিরোধী মঞ্চ’।
মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় প্রশাসনিক ভবনের ফটকে ‘অবরোধ’ লেখা সম্বলিত ব্যানার টানিয়ে ফটকের সামনে প্রতিবাদী সমাবেশ করে তারা। সকাল থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত চলে এই কর্মসূচি।
সমাবেশে ধর্ষক ও তার সহায়তাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত, মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল থেকে বের করে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের আসন নিশ্চিত, র্যাগিং সংস্কৃতির সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা, নিপীড়ক শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির বিচার নিশ্চিতসহ ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময়ে নানাবিধ অপরাধে অভিযুক্তদের বিচার নিশ্চিত, নিপীড়কদের সহায়তাকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষের অপরাধ তদন্ত করা এবং তদন্তের স্বার্থে তদন্ত চলাকালীন প্রশাসনিক পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান, মাদকের সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে জড়িতদের ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণাপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান আন্দোলনকারী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামছুল আলম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মাদকমুক্ত করতে হবে। যারা অছাত্র রয়েছে তাদের সরিয়ে দিতে হবে। প্রশাসন আমাদের বলেছিল, পাঁচ কর্মদিবসে অছাত্রদের বের করে দেবে। কিন্তু তারা সেটা পারেনি। প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে ঢাকায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে প্রশাসন দেখা করেছে। এখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কী করবে? তার কাছে গিয়েছিলেন নিশ্চয় ক্যাম্পাসে পুলিশের সহায়তা নিয়ে তল্লাশি করার জন্য। কিন্তু পুলিশ এখানে কী সহায়তা করবে? তারা কি বহিরাগত অছাত্রদের চেনে? এখানে হল প্রশাসন যদি কাজ করে তাহলেই সমাধান হবে। কিন্তু তারা কেউ কাজ করছেন না। গত ১৫ বছরে প্রতিটা হল টর্চার সেলে পরিণত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে যে বিচারহীনতা চলছে তার লেস এখানে পড়েছে।