প্রকাশ: সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৯:১৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৯:৩৫ অপরাহ্ন
সাকিব বিশ্বকাপে যাওয়ার আগেই বিশ্বকাপের পর আর অধিনায়কত্ব করবেন না বলে জানিয়ে গিয়েছিলেন। তবে সেটি শুধুই ওয়ানডে, নাকি সব সংস্করণেই সেটি পরিষ্কার করেননি।
ওয়ানডেতে সাকিব অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন একেবারেই আকস্মিকভাবে। গত বছর জুলাইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচের পরই প্রায় আড়াই বছরের অধিনায়ক তামিম ইকবাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেওয়ার পর সাকিবকে আবার অধিনায়ক করা হয়। গত বছর আগস্টে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপ দিয়ে আবার ওয়ানডে অধিনায়কত্বে প্রত্যাবর্তন ঘটে সাকিবের। বাকি দুটি সংস্করণে তিনি আগে থেকেই অধিনায়ক ছিলেন। মুমিনুল হক টেস্ট অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর ২০২২ সালের জুনে টেস্টে আবার অধিনায়ক হয়েছিলেন, টি–টোয়েন্টি অধিনায়কের দায়িত্ব পান এর মাস দুয়েক পর।
নাজমুল হোসেনের বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক অবশ্য বিশ্বকাপের ওই দুই ম্যাচের আগেই। বিশ্বকাপের ঠিক আগে নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকে বিশ্রাম নেওয়া সাকিব আল হাসানের বদলে সেই সিরিজে অধিনায়ক করা হয়েছিল লিটন কুমার দাসকে। সিরিজের দুই ম্যাচে অধিনায়কত্ব করার পর তৃতীয় ম্যাচে লিটনকে ‘বিশ্রাম’ দেওয়া হয়। যদিও তাতে অসুস্থতারও একটা ভূমিকা ছিল। সেই ম্যাচেই প্রথম বাংলাদেশের অধিনায়কত্ব করেন নাজমুল।
নাজমুলের নেতৃত্বে দেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জিতেছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে ও প্রথম টি–টোয়েন্টি জয়ও এসেছে তাঁর নেতৃত্বে।
সেই থেকে এখন পর্যন্ত মোট ১১টি ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। বিশ্বকাপের ওই দুটি ম্যাচ বাদে বাকি ৯টিই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। নাজমুলের নেতৃত্বে দেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জিতেছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে ও প্রথম টি–টোয়েন্টি জয়ও এসেছে তাঁর নেতৃত্বে। দুটিই গত ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ড সফরে।
মাঠের অধিনায়কত্বে তো বটেই, মাঠের বাইরের নেতৃত্বগুণ দিয়েও দীর্ঘ মেয়াদে অধিনায়ক হওয়ার জোরালো দাবি তুলেছিলেন নাজমুল হোসেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের এ ঘোষণা তাই অনেকটা অনুমিতই ছিল। আপাতত তাঁকে অধিনায়ক করা হয়েছে চলতি বছরের জন্য। এ বছর বাংলাদেশের অনেক খেলা, যার মধ্যে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপও আছে। অধিনায়ক হিসেবে এরই মধ্যে নিজেকে চেনানো নাজমুল তাই দীর্ঘ মেয়াদে অধিনায়ক থাকার দাবি জানানোর যথেষ্ট সুযোগই পাচ্ছেন।