প্রকাশ: শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৫:৪৫ অপরাহ্ন
বিশ্বের অন্যান্য ছয়টি শক্তিশালী মুদ্রা, যেমন ব্রিটিশ পাউন্ড, ইউরো, জাপানি ইয়েন, সুইস ফ্রাঁ, কানাডীয় ডলার ও সুইডিশ ক্রোনার বিপরীতে মার্কিন ডলারের মান গত শুক্রবার পর্যন্ত বেড়েছে।
মার্কিন ডলারের বিনিময় মূল্য চলতি বছর বেশ খানিকটা বেড়েছে। গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে ফেডারেল রিজার্ভ নীতি সুদহার বৃদ্ধির ধারা থামালে ডলারের বিনিময় মূল্য ওঠানামা শুরু করে। কিন্তু মার্চে নীতি সুদ না কমায় দাম বাড়ছে ডলারের।
গত বছরের নভেম্বরে মার্কিন ডলারের মান পড়ে যায় এবং বছর শেষে এ ছয়টি মুদ্রার মধ্যে বিপরীতে তার পতনের ধারা দেখা যায়। তখন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ধারণা তৈরি হয়েছিল যে ফেডারেল রিজার্ভ চলতি বছরের মার্চে নীতি সুদহার কমাবে। কিন্তু ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল জানুয়ারিতে মুদ্রানীতিতে বলেছেন, মার্চে নীতি সুদহার কমানোর সম্ভাবনা কম। এরপর ডলার আবার শক্তিশালী হতে শুরু করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অর্থনৈতিক সূচক প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে বোঝা যাচ্ছে, ফেডারেল রিজার্ভ আরও বেশ কিছুদিন সুদহার বাড়তি রাখবে। জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে ৩ লাখ ৫৩ হাজার নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। ফলে নীতি সুদহার বৃদ্ধির কারণে বেকারত্ব বৃদ্ধির যে আশঙ্কা ছিল, তা অনেকটাই কেটে গেছে। সবচেয়ে বড় কথা, ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তামূল্য সূচক ছিল ৩ দশমিক ৪ শতাংশ, যদিও এখনো এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লক্ষ্যমাত্রা ২ শতাংশের ওপরে।
বিশ্লেষকেরা মনে করেন, নীতি সুদহার কমানোর সময় এলে ডলারের বিনিময় হার আবার কমে আসবে।
বাজার–সংশ্লিষ্ট মানুষের ধারণা, আগামী মে ও জুন থেকে ফেড নীতি সুদহার কমাতে শুরু করবে।