প্রকাশ: শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৭:১৪ অপরাহ্ন
কাদিয়ানি সম্প্রদায় খ্যাত আহমদিয়া মুসলিম জামাতকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা এবং পঞ্চগড়ে তাদের সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ পরিষদ। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বাদ জুমা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইটে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে সংগঠনের আহ্বায়ক আল্লামা আব্দুল হামীদ (মধুপুরের পীর) বলেন, ‘পঞ্চগড়ে ‘তথাকথিত আহমদিয়া মুসলিম জামাত কাদিয়ানি সম্প্রদায় কর্তৃক আগামী ২৩, ২৪ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি সালানা জলসার নামে ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের মঞ্চ করার ঘোষণা দিয়েছে। আমরা অনতিবিলম্বে তাদের অবৈধ সালানা জলসা বন্ধ করে তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। সরকার তাদের জলসা বন্ধ করতে ব্যর্থ হলে দেশের শীর্ষ মুরব্বি আলেম-উলামা ও ইসলামপ্রিয় তৌহিদি জনতাকে সাথে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ পরিষদ বাংলাদেশের সদস্য সচিব মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী বলেন, ‘জাতীয় সংসদে নবগঠিত সরকারের চলতি অধিবেশনে অন্যান্য মুসলিম দেশের মতো এদেশেও যেন কাদিয়ানি সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার প্রস্তাব তুলে বিল পাস করা হয়। এজন্য আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। এটা এদেশের সাধারণ মুসলমানদের সাংবিধানিক অধিকার। এছাড়া এদেশে কাদিয়ানিরা তাদের ধর্মীয় পরিচয়ে বসবাস করবে। এই অধিকার সংবিধান তাদেরকে দিয়েছে। কিন্তু মুসলমানদের পরিভাষা ও পরিচয় ব্যবহার করে সাধারণ মুসলমানদের ধোঁকা দেওয়ার অধিকার সংবিধান তাদের দেয়নি। তাই পঞ্চগড়ে মুসলমানদের পরিভাষা ও পরিচয় ব্যবহার করে তাদের সালানা জলসা করা একটি অসাংবিধানিক কাজ। তাছাড়া বিগত বছর সেখানে তাদের সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছিল। এবারও যদি তাদের জলসার কারণে সেখানে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে, এর সম্পূর্ণ দায়ভার সরকারকে বহন করতে হবে।’
এসময় সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘দেশের সাধারণ মানুষের দাবি হলো পঞ্চগড়ে কাদিয়ানিদের সালানা জলসা বন্ধ করতে হবে। কোরআন ও হাদিসের আলোকে বিশ্বের সব মুসলিমের ঐক্যমতের ভিত্তিতে কাদিয়ানিরা অমুসলিম। ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে মুসলিম পরিচয়ে এবং মুসলমানদের পরিভাষা ব্যবহার করে কোনো জলসা করার অধিকার কাদিয়ানিরা রাখে না।’