প্রকাশ: রোববার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১২:৩১ অপরাহ্ন
আজ শেষ হয়েছে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। আজ রোববার তিন দিনের জমায়েত শেষে নিজ জেলায় ফিরতে শুরু করেছেন মুসল্লিরা। তবে দোয়া শেষে একযোগে মানুষ ফিরতে শুরু করায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে। যানবাহন সংকট, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় চলছে। তবু অনেককে বাধ্য হয়ে ফিরতে হচ্ছে গন্তব্যে। এতে হাজার হাজার মানুষের ভিড় জমেছে মেট্রোরেল স্টেশনগুলোতে। তিল ধারণের জায়গা নেই বাংলাদেশ রেলওয়ের বিশেষ ট্রেনগুলোতেও।
মোনাজাত শেষে ঢাকার পথে ঢল নামে মুসল্লিদের। বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে সড়কগুলো নিয়ন্ত্রিত থাকায় দেখা দেয় পরিবহণ সংকট। ফলে ফিরতি পথে শুরু হয় মুসল্লিদের বিড়ম্বনা। একদিকে গণপরিবহন সংকট অন্যদিকে মানুষের হেঁটে ঢাকায় ফেরা, অল্প যেসব গণপরিবহণ চলছে সেগুলোতে গেট লক সার্ভিসের নামে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। এ ছাড়া পিকআপ ভ্যানে করে অতিরিক্ত ভাড়ায় ঢাকার বিভিন্ন প্রান্তে যাচ্ছেন ইজতেমা ফেরত মুসল্লিরা। সব মিলিয়ে ফিরতি পথেও পদে পদে বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে মুসল্লিদের।
ইজতেমা মাঠ পেরিয়ে আব্দুল্লাপুর অংশ থেকে বিভিন্ন পিকআপ ভ্যান, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, দুই একটি বাস বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রী নিয়ে যাচ্ছে। মুসল্লিরা জানান, যেখানেই যাবেন ভাড়া ১০০ টাকা, না হলে বাসে তোলা হচ্ছে না। গেট বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। পিকআপ ভ্যানেও যাত্রী ঠেসে তুলে ১০০ টাকা করে ভাড়া চাওয়া হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে যাত্রীদের রীতিমতো জিম্মি করে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। পাশাপাশি আগে থেকেই ভর্তি হয়ে আসা গণপরিবহণগুলো মাঝপথে থামানো হচ্ছে না। ফলে মাঝপথের যাত্রীরা আরও বেশি বিড়ম্বনায় পড়েছেন তাদের হেঁটেই ফিরতে হচ্ছে।
অন্যদিকে, ঢাকায় প্রবেশ করা ট্রেনগুলোতেও কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে, ছাদ ভর্তি হয়ে মুসল্লিরা ফিরছেন। উত্তরার হাউজ বিল্ডিংয়ের সামনের রাস্তা থেকে সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, পোস্তগোলার যাত্রী ডাকছিলেন মাঝারি আকৃতির একটি পিকআপ ভ্যানের হেলপার বাবুল মিয়া। তিনি বলেন, ‘যেখানেই যাবেন ১০০ টাকা, বাড্ডা নেমে গেলেও ১০০ টাকা আবার যাত্রাবাড়ী গেলেও ১০০ টাকা। সড়কে বাস নেই, ইজতেমা শেষে এই এক ট্রিপ নিয়ে যাব বলে ভোরে এখানে এসেছি গাড়ি নিয়ে। তাই একটু ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে। মানুষ তো যাওয়ার জন্য গাড়ি পাচ্ছে না।’