শেষ ওভারে শ্রীলঙ্কার মেয়েদের দরকার ছিল ৯ রান, হাতে ৭ উইকেট। শুধু টি–টোয়েন্টি কেন, যেকোনো পর্যায়ে যেকোনো সংস্করণের ক্রিকেটে এ অবস্থায় শ্রীলঙ্কাকেই সবাই এগিয়ে রাখতেন। এমন চাপের মুখে শেষ ওভারে বাংলাদেশ অধিনায়ক সুমাইয়া আক্তার বল তুলে দেন জান্নাতুল মাওয়াকে, যিনি এ ইনিংসে আগে বোলিংই করেননি! প্রথমবার বোলিংয়ে এসেই ‘নো বল’ দিয়ে বসেন মাওয়া। ওই বল থেকে ২ রান নেন শ্রীলঙ্কার ভিস্মি গুনারত্ন। পরের বলেও নেন ২ রান।
মাত্র ১ বলে ৫ রান পাওয়ায় ম্যাচ একরকম শ্রীলঙ্কার হাতের মুঠোয় চলে আসে। ৫ বলে দরকার মাত্র ৪, হাতে ৭ উইকেট—এ আর এমন কী!
তবে এখান থেকে অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়ান মাওয়া। পরের ৫ বলে দেন মাত্র ২ রান। নিজে নেন শশীনি গিমহানি বিজয়ারত্নার উইকেট, শেষ বলে রানআউট করেন গুনারত্নকে। তাতে ১ রানের রুদ্ধশ্বাস জয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ত্রিদেশীয় টি–টোয়েন্টি সিরিজের ফাইনালে উঠে গেছে বাংলাদেশ।
কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে রাবেয়া খানের অর্ধশতকে ৬ উইকেটে ১১৪ রান করেছিলেন বাংলাদেশের মেয়েরা। লক্ষ্য তাড়ায় শেষ ওভারে মাওয়ার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে শ্রীলঙ্কা থামে ৫ উইকেটে ১১৩ রানে।
ত্রিদেশীয় সিরিজের আরেক দল পাকিস্তান। আগের ম্যাচে পাকিস্তানি মেয়েদের বাংলাদেশ হারায় ৩৬ রানে। আর সিরিজের উদ্বোধনী ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই বাংলাদেশ জয় পায় ৫ উইকেটে। পাকিস্তান–শ্রীলঙ্কার ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হলে দুই দল ১ পয়েন্ট করে পায়। বাংলাদেশ টানা তিন জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার আগে ফাইনালে পৌঁছে গেছে।
প্রথম পর্বে বাংলাদেশ নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলবে আগামী বুধবার পাকিস্তানের বিপক্ষে। এর আগে সোমবার পাকিস্তান–শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয়বার মুখোমুখি হবে। এ ম্যাচের জয়ী দল আগামী শুক্রবার বাংলাদেশের বিপক্ষে ফাইনাল খেলবে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দল: ২০ ওভারে ১১৪/৬
(রাবেয়া ৫০*, আফিয়া ৩১, সুমাইয়া ১২; নানাইয়াকারা ১/৬, ডিউমি ১/২১, শশীনি ১/২৯)
শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দল: ২০ ওভারে ১১৩/৫
(ডিউমি ৩০, নেতমি ২৭, ভিস্মি ২৬; মাওয়া ১/৭, রাবেয়া ১/১৮, নিশিতা ১/২৬)
ফল: বাংলাদেশ ১ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: রাবেয়া খান।