প্রকাশ: শনিবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৪, ৮:২৬ অপরাহ্ন
তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব বিবেচনায় ফেসবুক, ইউটিউব ও টিকটকসহ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমকে ‘জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে নিউইয়র্ক। যুক্তরাষ্ট্রের বড় কোনো শহরে এ ধরনের পদক্ষেপ এই প্রথম। গত বুধবার নিউইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দেন বলে ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
অ্যাডামস বলেন, ‘নানা আসক্তিমূলক ও বিপজ্জনক ফিচার দিয়ে টিকটক, ইউটিউব, ফেসবুকের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোর নকশা করা হয়েছে। এগুলো মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে সংকট তৈরি করছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘তামাক ও বন্দুকের ক্ষেত্রে যেমন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন মার্কিন সার্জনরা, তেমনি আমরা অন্যান্য সামাজিক মিডিয়াকে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকির মতো বিবেচনা করছি এবং এটি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।’
নিউইয়র্ক শহরের স্বাস্থ্য কমিশনার অশ্বিন ভাসান সামাজিক মাধ্যমকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাস্থ্য ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করার সুপারিশ করেন। তিনি নিউইয়র্ক শহরের তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের রূপরেখা তুলে ধরেন এবং স্বাস্থ্যকর সামাজিক মিডিয়া ব্যবহারে উৎসাহিত করার বিষয়ে নির্দেশনা দেন। এজন্য প্রযুক্তিবিহীন সময় কাটানো, সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের সময় ব্যবহারকারীর অনুভূতি পর্যবেক্ষণ করা ও প্রাপ্তবয়স্কদের মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক অভিজ্ঞতা শেয়ার করার নির্দেশ দেন তিনি।
জরিপ বলছে, বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে, মজাদার বিষয় নিয়ে আলাপ করতে ও ট্রেন্ড অনুসরণ করতে যুক্তরাষ্ট্রের ৯৫ শতাংশ কিশোর–কিশোরী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেন। এজন্য তরুণেরা যে ধরনের গুরুতর মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে, তার সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সম্পর্ক রয়েছে। এছাড়া এসব মাধ্যম ব্যবহারের আসক্তিও বেড়েছে।
শিশুদের সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের ওপর অভিভাবকদের নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে ও অনলাইনে কাটানো সময় বেঁধে দিতে টিকটক ও ইউটিউবসহ বেশ কয়েকটি প্রযুক্তি কোম্পানি এর মধ্যে নতুন কিছু ফিচারও এনেছে। নিউইয়র্ক শহরের এই পদক্ষেপ নিয়ে টিকটক, গুগল ও মেটা তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।