আইন বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথসংক্রান্ত সবকিছুই সাংবিধানিকভাবে হয়েছে। তারপরও নীতিনির্ধারকেরা সংবিধানের এ সংক্রান্ত বিষয়ে স্পষ্টীকরণের প্রয়োজন মনে করলে বিষয়টি দেখা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ আল-দুহাইলানের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘নীতি-নির্ধারকরা যদি মনে করেন এখানে আরও কিছু স্পষ্ট করার প্রয়োজন আছে, সেটা দেখা যাবে। তবে, ব্যাপারটা হচ্ছে সংবিধানে এখন যা আছে, সেভাবেই দেশ চলছে এবং এটা আজকে সংবিধানে সন্নিবেশিত করা হয়নি। এটা চতুর্দশ সংশোধনীতে সংযোজন করা হয়েছিল। এখন যে বিষয়টা নিয়ে আলাপ করা হচ্ছে, এটার বোধহয় খুব একটা গুরুত্ব নেই।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের বিচার বিভাগের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতাবিষয়ক একটি চুক্তি স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই চুক্তির বিষয়বস্তু সৌদি আরবে পাঠানো হয়েছে।
বৈঠকে সৌদি রাষ্ট্রদূত আইনমন্ত্রীকে জানান, মুসলিম বিশ্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বোন হিসেবে মনে করেন এবং তারা এই সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে অত্যন্ত আগ্রহী। বৈঠকে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক উন্নয়নেও তারা উভয়ই একমত পোষণ করেন।
বৈঠকের বিষয়বস্তু নিয়ে ব্রিফিংকালে এক সাংবাদিক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘বলা হচ্ছে সংসদে ৬৪৮ এমপি এখন। এটা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। মন্ত্রীরা যখন শপথ নেন তখন আগের মন্ত্রিসভা বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু, সংসদ সদস্যরা শপথ নিলেও আগের সংসদ বাতিল হয় না। সেক্ষেত্রে আইনের অস্পষ্টতা আছে বলে আপনি মনে করেন কি না।
সেটি স্পষ্ট করার উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না—প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাপারটা হচ্ছে সংবিধানে এখন যা আছে, সেভাবেই দেশ চলছে এবং এটা আজকে সংবিধানে সন্নিবেশিত করা হয়নি। এটা চতুর্দশ সংশোধনীতে সংযোজন করা হয়েছিল। এখন যে বিষয়টা নিয়ে আলাপ করা হচ্ছে, এটার বোধহয় খুব একটা গুরুত্ব নেই। তারপরও আমি বলব, নীতি-নির্ধারকরা যদি মনে করেন এখানে কিছু আরও স্পষ্ট করার প্রয়োজন আছে, সেটা দেখা যাবে।’
আইনমন্ত্রী আরও বলেন বলেন, নীতি-নির্ধারকরা প্রয়োজন বোধ করলে কোন জায়গায় সেটা নীতি-নির্ধারকরা সিদ্ধান্ত নেবেন। তারপর সেটা হবে। আমার মনে হয় এখন যা হয়েছে সবকিছুই সাংবিধানিক হয়েছে।