প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৪, ২:২৭ অপরাহ্ন
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, প্লাস্টিক দূষণ থেকে পরিবেশ, একক ব্যবহার হওয়া প্লাস্টিকের (এসইউপি) উৎপাদন ও ব্যবহার কমিয়ে আনতে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি পণ্য প্রস্তুতকারক ও আমদানিকারকদের পণ্য থেকে সৃষ্ট বর্জ্য সুষ্ঠুভাবে ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে বর্ধিত প্রযোজক জবাবদিহিতার (ইপিআর) খসড়া চূড়ান্ত করা হবে। তিনি বলেন, শিল্প কারখানার ইটিপি কার্যকরভাবে চালু রাখতে স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে অনলাইন মনিটরিং চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের এক প্রস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় আগামী ১০০ কর্মদিবসে কী অগ্রাধিকার দেবেন তা জানিয়েছেন পরিবেশমন্ত্রী।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য এসইউপির তালিকা তৈরি করবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি এ বষয়ে প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রমও শুরু করা হবে।
তিনি আরও বলেন, সচিবালয় এসইউপিমুক্ত করার পাশাপাশি অন্যান্য সরকারি অফিসে একই ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা জারি করা হবে।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার ২০২৪ এ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও পরিবেশ সুরক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন এবং এ মন্ত্রণালয়ের বর্ণিত চ্যালেঞ্জ ও সমস্যা সমাধানে অগ্রাধিকার নির্ধারণ ও যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণকল্পে ১০০ কর্মদিবসের কর্মপরিকল্পনা স্থির করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ, পাহাড় কর্তন ও জলাধার ভরাট রোধসহ পরিবেশ সুশাসনের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এ কর্মপরিকল্পনা জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতি দ্রুত সাড়া প্রদানে মন্ত্রণালয়ের সক্ষমতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, সদিচ্ছা এবং অঙ্গীকারের প্রতিফলন হবে।