প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৪, ২:৪৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৪, ২:৪৮ অপরাহ্ন
বিচারিক আদালতের এজলাস কক্ষ থেকে লোহার খাঁচার অপসারণ চেয়ে রিট করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এটি দায়ের করা হয়। দশজন আইনজীবীর পক্ষে মোহাম্মদ শিশির মনির এটি দায়ের করেন। ১০ আইনজীবী হলেন, জি এম মুজাহিদুর রহমান, মোহাম্মদ নোয়াব আলী, সাদ্দাম হোসেন, আব্দুল্লাহ সাদিক, মিজানুল হক, মুজাহিদুল ইসলাম, মেসবাহ উদ্দিন, মো. জোবায়দুল ইসলাম, আজিম উদ্দিন পাটোয়ারী ও সাজ্জাদ সারোয়ার।
আদালত থেকে বেরিয়ে আইনজীবী শিশির মনির বলেন, বাংলাদেশের অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে এই ধরনের লোহার খাঁচা আগে ছিল না। বর্তমানে শতাধিক আদালতে এই ধরনের খাঁচা বিদ্যমান। এর বেশির ভাগই ঢাকায়। এই ধরনের খাঁচা ব্যবস্থাপনা সংবিধানের ৩১,৩২ ও ৩৫(৫) অনুচ্ছেদের সাথে সাংঘর্ষিক। ৩৫(৫) এ বলা আছে কারও সাথে নিষ্ঠুর-অমানবিক আচরণ করা যাবে না। অযথা এই খাঁচা ব্যবস্থার মাধ্যমে নাগরিকদের সাথে নিষ্ঠুর অমানবিক ও বর্বর আচরণ করা হচ্ছে।
সার্বজনীন মানবাধিকার সনদ, নির্যাতনবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদসহ অন্যান্য কোনো দেশীয় ও আন্তর্জাতিক দলিল এই ধরনের আচরণ অনুমোদন করে না। অন্ধকার যুগে মানুষকে খাঁচায় বন্দি করে রাখা হতো। এই ধরনের নিষ্ঠুর আচরণ করা হতো।
বর্তমানে নিম্ন আদালতে এই খাঁচা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মূলত নিষ্ঠুর আচরণ করা হচ্ছে। এমনকি জামিনে থাকা আসামিদের হাজিরার জন্যও এই খাঁচা ব্যবহার করা হয়। তাদের এই খাঁচায় ঢুকানো হয়। স্বাক্ষ্য গ্রহণের সময়ও জামিনে থাকা আসামিদের খাঁচায় ঢুকিয়ে রাখা হয়।
রিটে রুল জারির আবেদনে বলা হয়েছে আদালত কক্ষে লোহার খাঁচা স্থাপনের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং ইতিমধ্যে স্থাপিত লোহার খাঁচা অপসারণ করে কাঠের ডক কেন প্রতিস্থাপন করা হবে না। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ চাওয়া হয়েছে।
যে সমস্যা আদালত ও ট্রাইব্যুনাল এ লোহার খাঁচা স্থাপন করা হয়েছে তার একটি তালিকা আদালতে দায়ের করা। এছাড়া রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামিনে থাকা আসামিদের আদালত কক্ষে লোহার খাঁচায় না ঢুকানোর আদেশ চাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এই ১০ আইনজীবীর পক্ষে নোটিশ পাঠান আইনজীবী শিশির মনির হয়। নোটিশের জবাব না পেয়ে এই রিট দায়ের করা হয়।