প্রকাশ: সোমবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৪, ৪:২০ অপরাহ্ন
সংবিধান অনুযায়ী বছরের প্রথম এবং দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি সংসদে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে দিকনির্দেশনামূলক ভাষণ দেবেন আগামী ৩০ জানুয়ারি। ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে সংসদে বিস্তারিত আলোচনা হবে। ২০২৯ সালের ২৯ জানুয়ারি এ সংসদের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হবে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় দেয়া ক্ষমতাবলে এ অধিবেশন আহ্বান করেন।
নিয়ম অনুযায়ী, নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশনের প্রথম বৈঠকে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন করতে হয়। আওয়ামী লীগ গত বুধবার তাদের সংসদীয় দলের সভায় স্পিকার পদে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং ডেপুটি স্পিকার পদে সামসুল হক টুকুকে বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রথম দিন স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন ছাড়াও অধিবেশনে সভাপতিমণ্ডলী মনোনয়ন, শোক প্রস্তাব ও অধ্যাদেশ উত্থাপন (যদি থাকে), সংসদীয় কমিটি গঠন (যদি থাকে), সংবিধান বা আইন অনুযায়ী কোনো রিপোর্ট উপস্থাপন (যদি থাকে) ও রাষ্ট্রপতির ভাষণ থাকে। তবে রেওয়াজ অনুযায়ী, প্রশ্নকাল থাকে না।
রেওয়াজ অনুযায়ী, প্রতি অধিবেশনেই পাঁচজন করে সভাপতি নির্বাচন করা হয়। এর মধ্যে একজন নারী সদস্যকে মনোনয়ন দেয়া হয়। স্পিকার, ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে তারা সংসদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন।
প্রসঙ্গত, দ্বাদশ সংসদের সদস্যরা শপথ গ্রহণ করলেও সংবিধান অনুযায়ী আগামী ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত একাদশ সংসদের মেয়াদ রয়েছে। ফলে এ মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে নতুন সংসদের অধিবেশন বসার সুযোগ নেই। এর পরই অধিবেশন হবে।
গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ২২৩ আসনে জয়ী হয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে। ১১ জানুয়ারি মন্ত্রিসভার শপথের মধ্য দিয়ে এ সরকারের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।