প্রকাশ: শুক্রবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৪, ৯:০২ অপরাহ্ন
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে আজ শুক্রবার বিকেলে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা অবিলম্বে অন্তর্বর্তীকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।
সংসদ ভেঙে দেওয়ার দাবি জানিয়ে মঞ্চের নেতারা বলেন, সব দলের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন করে ভোটের আয়োজন করতে হবে। জনগণের সম্মিলিত শক্তিতে এই সরকারের মসনদ ভেঙে দেওয়া হবে।
সমাবেশে নেতারা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে ‘প্রহসনের ডামি নির্বাচন’ বলে উল্লেখ করেন এবং ওই নির্বাচন বাতিলের দাবি জানান। তাঁরা বলেন, ভোটকেন্দ্রগুলো ছিল বিরান ভূমি। মানুষ এই ভোট বর্জন করেছেন। ৫ বা ৭ শতাংশ ভোট পড়েছে কি না, সন্দেহ! সিইসিকে ঘুম থেকে জাগিয়ে ৪১ শতাংশ ভোটের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলগুলোই এখন সাক্ষ্য দিচ্ছে, ৭ জানুয়ারি কোনো নির্বাচন হয়নি।
সরকারি দলের জোটসঙ্গীরা, এমনকি তাদের নিজেদের কেন্দ্রীয় লোকেরাই এখন নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে বলছে বলে দাবি করেন নেতারা।
দেশের মানুষ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছেন দাবি করে বলা হয়, গণতান্ত্রিক বিশ্ব এই নির্বাচনকে গ্রহণ করেনি। সেই ভয়ে জলদি করে সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীরা শপথ নিলেন। তাঁদের ভয়, কখন গণেশ উল্টে যায়। কিন্তু এসবে কাজ হবে না। ৭ জানুয়ারির মানুষের ভোট বর্জন নতুন গণপ্রতিরোধের সূচনা। জনগণের আন্দোলনের মুখেই এই সরকারকে বিদায় নিতে হবে।
নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লা কায়সারের সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি তানিয়া রব।