প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৫, ৪:৪৯ অপরাহ্ন
রংপুরের বোলারদের তোপে মাত্র ১১১ রানে থেমেছিল ঢাকা ক্যাপিটালস। ছোট লক্ষ্য তাড়ায় রংপুরের ব্যাটারদের কাজটা আরও সহজ করে দিলেন ঢাকার বোলাররা। অস্বাভাবিক নো বল আর ওয়াইডের হ্যাটট্রিকের ম্যাচে ৪০ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের বিশাল জয় পেয়েছে আসরে এখন পর্যন্ত অপরাজিত রংপুর। এ নিয়ে টানা পঞ্চম জয়ে টেবিলের শীর্ষেই আছে তারা।
অন্যদিকে, চলতি বিপিএলে নাম লেখানো শাকিব খানের ঢাকা ক্যাপিটালস টানা চার ম্যাচে হারের মুখ দেখল। ঢাকা পর্বে টানা তিন হারের পর ভাগ্য বদলালো না সিলেটেও।
১১২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার আজিজুল হাকিম তামিমকে হারায় রংপুর। যুবা এই চ্যাম্পিয়ন আগের দুই ম্যাচে শূন্য রানে আউট হওয়ার পর আজ করতে পারলেন মোটে ১৪ বলে ৫ রান।
আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান অ্যালেক্স হেলস আজও ছন্দে ছিলেন। এদিন অর্ধশতক থেকে ৬ রান দূরে থাকতেই তাকে ফেরান মোসাদ্দেক হোসেন। আউট হওয়ার আগে ৪ চার ও ৩ ছয়ে ৪৪ রান করেন হেলস। সাইফ হাসানের ব্যাট থেকে এসেছে ১৫ বলে ১৩ রান।
দুই পাকিস্তানি ইফতিখার আহমেদ ও খুশদিল শাহ'র ব্যাটে চড়ে জয় নিশ্চিত হয় রংপুরের। ইফতিখার ১২ বলে ৯ এবং খুশদিল ১৩ বলে ৪ চার ও ১ ছয়ে ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে সিলেটে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খারাপ ছিল না ঢাকার। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর পথ হারিয়ে ফেলে থিসারা পেরেরার দল। দুই ওপেনার জেসন রয় এবং হাবিবুর রহমান সোহান মিলে উদ্বোধনী জুটিতে ২৮ রান যোগ করেছিলেন। ১২ বলে ১৪ রান করে আকিফ জাভেদের বলে বিদায় নেন সোহান। ইনিংস লম্বা করতে পারেননি তারকা ব্যাটার জেসন রয়। ১২ বলে ১৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন ইংলিশ এই মারকুটে ব্যাটার।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর ‘তাসের ঘরের মতো’ ভেঙে পড়ে ঢাকার ব্যাটিং অর্ডার। একের পর এক উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে ছিল খালেদ মাহমুদ সুজনের দল। আসরে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা সাব্বির রহমানও আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি। ৭ বলে ৩ রান করে ফিরে গেছেন। ফর্ম হারিয়ে ধুঁকতে থাকা লিটন দাস বিদায় নেন ১৩ বলে ৯ রান করে।
শেষ দিকে মোসাদ্দেক হোসেন ও আলাউদ্দিন বাবু দুই অঙ্কের কোটা পেরোতে পেরেছেন। বাকিরা কেউই সেভাবে রান পাননি। ১৬.৩ ওভারের খেলা শেষে ১১১ রান তুলে অলআউট হয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস।