প্রকাশ: শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৬:০০ অপরাহ্ন
ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে ভারতীয় দুবৃর্ত্তদের ওপর ফাঁকা গুলি ছুড়ে পাচারের শিকার এক কিশোরীকে উদ্ধার করেছে বিজিবি। এ সময় আটক করা হয়েছে তিন বাংলাদেশি মানবপাচারকারী দালালকে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী কুমিল্লাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আজ শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিজিবি।
আটককৃতরা হলেন- মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা গ্রামের ইলাহী মণ্ডলের ছেলে আব্দুল মান্নান (৩১), একই গ্রামের আবু তালেব খলিফার ছেলে রুবেল (৩২) ও রেজাউল ইসলামের ছেলে হৃদয় হোসেন (২৯)।
বিজিবির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে কুমিল্লা পাড়া এলাকায় ৭ থেকে ৮ জনের একটি পাচারকারী দল আন্তর্জাতিক সীমারেখা অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। বিজিবি টহল দল তাদের সামনে যাওয়া মাত্রই কয়েকজন পাচারকারী ভারতের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়। বিজিবি টহলদল তাদের ধাওয়া করে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার ভাটারা গ্রামের আব্দুল লতিফের মেয়ে শিউলী খাতুনসহ ৪ জনকে আটক করে। এ সময় আটককৃতদের ছাড়িয়ে নিতে তিন থেকে চারজন ভারতীয় দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র নিয়ে বিজিবি সদস্যদের ওপর আক্রমণ করতে উদ্যত হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ সময় বিজিবি সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করলে মানবপাচারকারী দালালরা ভারতের অভ্যন্তরে পালিয়ে যান। আটককৃত কিশোরী শিউলী খাতুন বিজিবির জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সে পাচারের শিকার হয়েছিল। বিজিবিকে সে আরও জানায়, ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে টিকটক ভিডিও করার নাম করে তাকে ভারতের কলকাতায় পাঠানো হয়। ভারতে অবস্থানকালে আরও কয়েকজন বাংলাদেশি কিশোরীর সঙ্গে শিউলী আক্তারের পরিচয় হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ভিডিও শুটিংয়ের একপর্যায়ে শিউলী জানতে পারে যে, তাদের সবাইকেই এখান থেকে মুম্বাই শহরে পাঠানো হবে। এতে সে ঘাবড়ে যায় এবং মুম্বাই যেতে অস্বীকৃতি জানায়। কলকাতায় শিউলীকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। শিউলী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার অভিভাবকের সঙ্গে ভারতীয় দালালরা যোগাযোগ করে শিউলী আক্তারকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য মোটা অংকের টাকা দাবি করে। অবশেষে ৪০ হাজার টাকা দিলে বৃহস্পতিবার শিউলীকে মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।