প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৮:০৮ অপরাহ্ন
বাংলাদেশ পুলিশের নতুন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন বাহারুল আলম এবং ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন বাহারুল আলম। এক ক্ষুদে বার্তায় পুলিশ সদরদপ্তর জানায়, আইজিপি হিসেবে বৃহস্পতিবার সকালে দায়িত্ব নিয়েছেন বাহারুল আলম।
এদিকে, শেখ সাজ্জাদ আলী ডিএমপি কমিশনারের দায়িত্ব বুঝে নেন বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সদর দফতরের জনসংযোগ বিভাগের তথ্য কর্মকর্তা কামরুল আহসান এবং ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
গত বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৪৯ ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বাহারুল আলমকে অন্য যে কোনো পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান/সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে দুই বছর মেয়াদে আইজিপি পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হলো।
উল্লেখ্য, বাহারুল আলম ২০০৭-০৮ সালে এসবি প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন। পরে পুলিশ সদর দপ্তরে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘ সদরদপ্তরের শান্তিরক্ষা বিভাগে পুলিশ লিয়াজোঁ অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০১৫ সালে আফগানিস্তানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের সিনিয়র পুলিশ অ্যাডভাইজার হিসেবে কাজ করেন। এর আগে ক্রোয়েশিয়া, সার্বিয়া, কসোভো ও সিয়েরা লিওনে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এছাড়াও দুই দফা পদোন্নতিবঞ্চিত বাহারুল আলম ২০২০ সালে অবসরে যান।
অপরদিকে, গত বুধবার ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসানকে সরিয়ে অবসরে যাওয়া শেখ মো. সাজ্জাত আলীকে দায়িত্ব দেয়া হয়। আগামী দুই বছর তিনি নতুন এই দায়িত্ব পালন করবেন। ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের ১৯৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি একসময় ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) ছিলেন। তা ছাড়া সাজ্জাত আলী লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার ছিলেন। চাকরি জীবনে তিনি চট্টগ্রাম ও ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি ছিলেন। এছাড়া হাইওয়ে পুলিশ গঠন হলে সেখানে ডিআইজির দায়িত্ব পান। পরে অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে পুলিশ সদরদফতরে কর্মরত ছিলেন। পুলিশের এই কর্মকর্তার বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপায়।