শেরপুরের মাঠে মাঠে বাতাসে দুলছে বোরো ধানের সবুজ ঢেউ। কৃষক ভাল ফলনের আশায় এই কাঠফাটা রোদে ব্যাস্ত সময় পার করছেন বোরো খেতে। কৃষি বিভাগের মতে, চলতি মৌসুমে জেলায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া, ফসলের মাঠে কৃষকের নিবিড় পরিচর্যা, সময়মতো সার, সেচ ও কীটনাশক প্রয়োগের কারণে্ বোরো ধানের বাম্পার ফলন আশা করছেন কৃষকরা। এখনই নতুন ধানের সপ্নে বিভোর কৃষক।
শেরেপুরে আমন ধানের বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পাওয়ায় আমন ধানের মতো বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করছে কৃষি বভিাগ। জেলা কৃষি বিভাগ ও কৃষক জানায় ভারত সীমান্তঘেষাঁ শেরপুর জেলায় গত আমন মৌসুমে ৯২ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়েছিলো। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় বাম্পার ফলন পেয়েছিলেন । দামও পেয়েছেন ভালো। জেলায় এবার বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯০ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে।
কৃষকেরা ধান চাষে আগ্রহী থাকায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে আশা সংশ্লিষ্টদের। নকলা উপজেলার গণপদ্দী ইউনিয়নের কৃষক মো. আবু হারেজ বলেন, ধানের ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় এবার সব জমিতেই বোরো চাষ করব। ঝিনাইগাতী উপজেলার বগাডুবির কৃষক মো. সিদ্দিক আলী বলেন, আমাদের এলাকাটি নিম্নাঞ্চল বোরো আবাদে বন্যায় ফসল নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই বর্ষার আগেই ধান কেটে ঘরে তুলতে পারি।
ভোট ঠেকানো গণতান্ত্রিক অধিকার নয়: ডিএমপি কমিশনার
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক ড. মোহিত কুমার দে বলেন, টেকসই ও লাভজনক ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি ও ফলপ্রসু বিকেন্দ্রীকৃত এলাকা নির্ভর চাহিদাভিত্তিক ও সমন্বিত কৃষি সেবা প্রদানের মাধ্যমে সকল কৃষকদের প্রযুক্তি জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধিকরণে প্রশিক্ষণ প্রায় ১৫০ জন উপ-সহকারী কৃষি অফিসার নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষকদের।
তিনি বলেন, জেলার কৃষকদের পরামর্শসহ সহযোগিতা করে আসছি। সার ও কীটনাশকের সরবরাহেও কোন সমস্যা হবে না। এবার আমনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছিলো। তাই আশা করছি বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়িয়ে যাবে। বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, সবুজে ভরা ধান ক্ষেত বাতাসে দুলছে সবুজের ঢেউ ।
ধান ফলানোর জন্য কৃষক নিরন্তর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তাদের নিবিড় পরিচর্যায় বোরো ধান বেড়ে উঠছে দ্রুত। সরেজমিন বোরো ধান ক্ষেত দেখে মন ভরে যায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং ঠিকমতো ধান ঘরে তুলতে পারলে লাভবান হবেন কৃষক। সোনালি ধানের হাসি ফুটবে কৃষকের মুখে আর ভরবে তাদের শুন্য গোলা।
ঝিনাইগাতী উপজেলার প্রতাবনগর গ্রামের শতবর্ষী কৃষক , ডা: আব্দুল বারী, সারিকালিনগর গ্রামের আলহাজ্ব. শরিফউদ্দিন সরকার, শালচুড়া গ্রামের সরোয়ার্দী দুদু মন্ডল ও সাবেক চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ফর্সা জানান, আশা করছি এবার ইরি-বোরোর বাম্পার ফলন হবে। ক্ষেতের লিকলিকিয়ে বেড়ে ওঠা ধান ঘরে তুলতে পারলে খুবই লাভবান হবেন বলে আশা তাদের।