প্রকাশ: শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:১১ অপরাহ্ন

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা তথ্য পাঠানোর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে মোহাম্মদ রেজাউল নামে এক কলেজ শিক্ষক।
আজ শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে শহরের একটি রেস্তরায় এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, বাগাতিপাড়া উপজেলার পাকা ইউনিয়নের আখতারুজ্জামান হীরার ছেলে আসফাক আহমেদ রাজশাহীর পদ্মা আবাসিক এলাকায় ৩নং ব্লকে ডক্টর এইচ নামে একটি কোম্পানীতে চাকুরি দেয়ার নামে ৩০ জন ছেলের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। যার মধ্যে আমার ফুফাতো ভাইয়ের ছেলে রাকিবের কাছে থেকে চাকুরি দেওয়ার নাম করে ৫ লক্ষ টাকা নেয়। পরবর্তীতে চাকরি না দিলে সেই টাকা ফেরত চাইলে প্রতারক আসফাক আহমেদ তার মা আনোয়ারা বেগমের নামের চেক দেন। কিন্তু সেই চেক নিয়ে ব্যাংকে টাকা তুলতে গেলে একাউন্টে কোন টাকা নেই বলে জানান ব্যাংক কর্মকর্তা। পরে এ বিষয়ে প্রতারক আশফাক আহমেদের কাছে উকিল নোটিশ পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রতারক আসফাকের ছোট ছেলে পড়ে গিয়ে গাল কেটে যায়। এ ঘটনায় থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন তিনি। বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য থানায় ডাকা হয় আমাদের। পরবর্তীতে আমার ভাই সিংড়া এলজিইডি সার্ভেয়ার মোঃ রফিকুল ইসলামকে নিয়ে ভিত্তিহীন মিথ্যা জিডি করে সামাজিক ভাবে হেয়প্রতিপন্ন করেছে। এমনকি প্রধান উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা ভিত্তিহীন লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করায় তদন্ত করে প্রতারক আসফাক আহমেদকে আইনের মাধ্যমে বিচার দাবী করছি।
ভূক্তভোগী রাকিব হোসেন বলেন, আমাকে অফিস সহকারী হিসেবে চাকরি দেওয়ার নাম করে ৫ লক্ষ টাকা নেন। পরবর্তীতে চাকরি না দিলে টাকা ফেরত চাই এবং টাকা ফেরত না দিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে গ্রেফতার করানো হয়। আমি এই প্রতারক আসফাক আহমেদের বিচার চাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আসফাক আহমেদ টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমার মা কিডনী ক্যান্সারের অপারেশনের সময় তার বাবার কাছ থেকে সুদে টাকা নেয়। পরবর্তীতে সেই টাকা সুদ আসলে ফেরত দেওয়া হয়েছে। এবং টাকা ফেরত দেওয়ার প্রমাণ তার কাছে রয়েছে বলে জানান তিনি।