প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫, ২:০৩ অপরাহ্ন

কর্মস্থলে ‘তুই-তুমি’ সম্বোধন বন্ধের সুপারিশ করেছে শ্রম সংস্কার কমিশন। গতকাল সোমবার (২১ এপ্রিল) কমিশন তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেয়।
প্রতিবেদনে কর্মক্ষেত্রে অপমানজনক সম্বোধন বন্ধে ‘তুই-তুমি’র ব্যবহার না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ‘মহিলা’ শব্দের পরিবর্তে ‘নারী’ শব্দ ব্যবহার করার সুপারিশ করা হয়েছে, যাতে ভাষা আরও মর্যাদাবান ও সমানুভব সম্পন্ন হয়।
কমিশন নারী, পুরুষ, তৃতীয় লিঙ্গসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করাকে প্রাধান্য দিয়েছে। পাহাড়ি ও সমতলের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীসহ সব জনগোষ্ঠীর শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা দেওয়ার ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে যৌন হয়রানি প্রতিরোধের জন্য প্রতিষ্ঠানভিত্তিক নীতিমালা প্রণয়ন, অভিযোগ সেল গঠন এবং হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এ ছাড়া মাতৃত্বকালীন ছুটিকে পূর্ণ বেতনে ছয় মাসে উন্নীত করা এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের নারীদের জন্য বিশেষ সহায়তা স্কিম চালুর সুপারিশ করা হয়েছে।
সুপারিশে শিশু ও জবরদস্তিমূলক শ্রম বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। যাতে করে আগাম দাদনসহ সবরকম বাধ্যতামূলক শ্রমিক নিয়োগের পথ বন্ধ হয়। সামগ্রিকভাবে সব শ্রমিকের জন্য সামাজিক নিরাপত্তার আওতা বৃদ্ধি এবং কর্মক্ষেত্রের দুর্ঘটনা, অক্ষমতা, অসুস্থতা বা অবসরকালীন সময়ে আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আইএলও-র জীবনচক্রভিত্তিক সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি অনুসরণ করার কথাও কমিশন উল্লেখ করেছে।
সবশেষে, শ্রম আদালত ও আপিল ট্রাইব্যুনাল থেকে শুরু করে হাইকোর্ট পর্যন্ত সব স্তরে বাংলা ভাষার ব্যবহার চালু করার সুপারিশ করেছে শ্রম সংস্কার কমিশন।