প্রকাশ: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:০৯ অপরাহ্ন

ঈশ্বরদীতে সাবালক হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারী হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করায় ও মুসলমান ছেলেকে বিয়ে করায় ছেলের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলা করেছেন ওই নারীর পিতা। এছাড়াও ছেলের পরিবারকে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, ঈশ্বরদীর সংবাদপত্রের এজেন্ট ও দৈনিক জবাবদিহি পত্রিকার ঈশ্বরদী প্রতিনিধি মোঃ আক্তারুজ্জামানের (মিরু) বড় ছেলে লিতুন আহমেদ লাবিবের (৩০) সাথে প্রেমের সম্পর্কের পর স্বাগতা দে (২৭) আদালতের মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ ও বিয়ে করেন। বিষয়টি মেনে নিতে না পারায় ওই নারীর পিতা বিজয় কৃষ্ণ দাস ওই সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন ও ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ এনে তাদেরকে হত্যার হুমকি দেয়া অব্যাহত রাখেন।
আরও জানা যায়, ঈশ্বরদীর বাসিন্দা কৃষিবিদ লিতুন আহমেদ লাবিব ও স্বাগতা দে বিগত ২০১৫ সাল থেকে এক সাথে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। এক সাথে পড়াশোনা করার কারণে একে অপরের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। দুইজনই সাবালক হওয়ায় কারো বিনা প্ররোচনায় নিজের ইচ্ছায় স্বাগতা দে ঢাকা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্টেট আদালতের বিচারক মো. জুনাইদের সামনে উপস্থিত হয়ে হলফনামার মাধ্যমে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। একই সাথে তার নাম পরিবর্তন করে স্বাগতা দের স্থলে মোছাঃ স্বাগতা রাখা হয়। গত ১৬ মার্চ লাবিব ও মোছা. স্বগতা ঢাকা জজ কোর্টে নোটারির মাধ্যমে সরকারি অনুমোদন নিয়ে নিকাহ্ রেজিষ্ট্রারের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করেন। এ খবর পাওয়ার পর স্বাগতার পিতা বিজয় কৃষ্ণ দাস এ বিয়ে মানবে না এবং সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের জীবন নাশের হুমকি দেয়। এছাড়াও একধিক মিথ্যা মামলা করে জেলের ভাত খাওয়ানোর হুমকি দেয়।
প্রাণনাশের হুমকির ঘটনায় গত ৩ এপ্রিল ঈশ্বরদী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন (জিডি নং-১৪৭, তারিখ: ০৩/০৪/২৫ ইং)।
উল্লেখ্য, স্বাগতার বর্তমান বয়স ২৭ বছর এবং তিনি স্থানীয় এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। লাবিবের বয়েস ৩০ বছর ও তিনি একজন কৃষিবিদ। বর্তমানে সাংবাদিক পরিবারটি বিজয় কৃষ্ণ দাসের মিথ্যা মামলা ও প্রাণনাশের হুমকিতে রীতিমত পালিয়ে বেড়াতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানা যায়।