বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫ ৩ বৈশাখ ১৪৩২
 

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিখোঁজ যুদ্ধবিমানের খোঁজ মিলেছে
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: রোববার, ৬ এপ্রিল, ২০২৫, ২:৫১ অপরাহ্ন

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪৩ সালের ডিসেম্বরে নাৎসি বাহিনীর হামলায় ভূপাতিত একটি বোমারু বিমানের সন্ধান পাওয়া গেছে। এর মধ্যে দিয়ে নিখোঁজ হওয়া যুদ্ধবিমানটি নিয়ে ৮২ বছরের পুরোনো রহস্যের অবসান হয়েছে। এর ফলে দীর্ঘ অনিশ্চয়তা শেষে নিহত ক্রুদের পরিবারের জন্য এক ধরনের শান্তির বার্তা এসেছে। 

সংবাদমাধ্যম মেট্রোর প্রতিবেদনের বরাতে এ খবর প্রকাশ করেছে এনডিটিভি। এতে বলা হয়েছে, রয়্যাল অস্ট্রেলিয়ান এয়ার ফোর্সের এই যুদ্ধবিমানটিতে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং যুক্তরাজ্যের তিনজন ক্রু ছিলেন এবং এটি গ্রিসের আন্টিকিথেরা দ্বীপের উপকূলে বিধ্বস্ত হয়েছিল।

‘বাল্টিমোর এফডব্লিউ২৮২’ নামক এই বিমানটির ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পায় গ্রিসে গভীর সমুদ্র অনুসন্ধানকারী দল এজিনটেক, যারা পানির গভীরে ডুবে থাকা জাহাজ ও উড়োজাহাজের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে বের করতে বিশেষভাবে দক্ষ। তারা গত বছর সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬১ মিটার গভীরে যুদ্ধযানটির ধ্বংসাবশেষ শনাক্ত করে।

এজিনটেক বিমানটির ছবি ও তথ্য নিয়ে হিস্টরি অ্যান্ড হেরিটেজ- এয়ারফোর্স-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরবর্তীতে তারা নিশ্চিত করে যে এটি রয়্যাল অস্ট্রেলিয়ান এয়ার ফোর্সের-এর ‘বাল্টিমোর এফডব্লিউ২৮২’।

অস্ট্রেলিয়ার বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার মার্শাল স্টিফেন চ্যাপেল বলেন, 'আমরা রয়্যাল এয়ার ফোর্স এবং রয়্যাল নিউজিল্যান্ড এয়ার ফোর্স-এর সহকর্মীদের সঙ্গে, এই আবিষ্কার প্রকাশ করতে পেরে এবং আমাদের তিন জাতির এই সাহসী বিমানচালকদের সম্মান জানাতে পেরে গর্বিত।'

তিনি আরও বলেন, 'এই বিমানের সন্ধান খুঁজে পাওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা এবং নিহতদের পরিবারের জন্য শান্তি পাওয়ার সুযোগ এনে দিয়েছে।'

অস্ট্রেলিয়ার ৪৫৪ নম্বর স্কোয়াড্রনের পরিচালিত এই বোমারু বিমানটি এজিয়ান সাগরে একটি মিশন শেষ করে ফেরার পথে নাৎসি জার্মান বাহিনীর একটি ফাইটার বিমানের আক্রমণের শিকার হয়। এতে যুদ্ধবিমানটি গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ব্রিটিশ বিমানচালক লেসলি নরম্যান রো, অস্ট্রেলিয়ান পাইলট অফিসার কলিন ওয়াকার এবং নিউজিল্যান্ডের ওয়ারেন্ট অফিসার জন গার্টসাইড এই হামলায় নিহত হন। তবে অস্ট্রেলিয়ান পাইলট উইলিয়াম অ্যালরয় হিউ হর্সলে বেঁচে যান। পরে তাকে জার্মান বাহিনীর হাতে তুলে দেয়া হয় এবং যুদ্ধের শেষ পর্যন্ত তিনি বন্দী হিসেবে ছিলেন।

মুক্তির পর হর্সলে জানান, কীভাবে তাদের বিমানকে আক্রমণ করা হয়েছিল। 'মি-১০৯ যুদ্ধবিমান সাতবার আক্রমণ চালায়, যার ফলে বিমানটির বাম দিকের ডানায় আগুন ধরে যায়। যোগাযোগ ব্যবস্থাও ধ্বংস হয়ে যায় এবং পাইলট অফিসার ওয়াকার এবং ওয়ারেন্ট অফিসার গার্টসাইড আহত হন। তবে ঠিক কী পরিমাণে, তা আমি জানি না।'

এই ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার অভিযানের পর, নিহত তিন বিমানচালকের স্মরণে একটি বিশেষ স্মৃতিসভা আয়োজন করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: আক্তার হোসেন রিন্টু
বার্তা ও বাণিজ্যিক বিভাগ : প্রকাশক কর্তৃক ৮২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক (৩য় তলা) ওয়্যারলেস মোড়, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭।
বার্তা বিভাগ : +8802-58316172, বাণিজ্যিক বিভাগ : +8802-58316175,+8801711443328, E-mail: info@jobabdihi.com , contact@jobabdihi.com
কপিরাইট © দৈনিক জবাবদিহি সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft