প্রকাশ: শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৩:৫৩ অপরাহ্ন

রমজান উপলক্ষে গাজার জন্য মানবিক সহায়তা বাড়িয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। শুক্রবার কার্গো বিমানযোগে শত শত টন খাদ্যসামগ্রী পাঠানো হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ডব্লিউএএম জানিয়েছে, এই সপ্তাহে ইউএই থেকে পাঁচটি কনভয় বিভিন্ন ধরনের মানবিক সহায়তা নিয়ে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে পৌঁছেছে।
মিশর থেকে গাজায় প্রবেশ করা কনভয়গুলোর মাধ্যমে ৭৩টি ট্রাকের মাধ্যমে ১,১৮৫ টনের বেশি ত্রাণ সহায়তা পাঠানো হয়েছে, যার মধ্যে খাদ্য, তাবু এবং অন্যান্য জরুরি সামগ্রী রয়েছে।
ইসরাইলের ১৫ মাসব্যাপী ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৪৮,০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং ৯০ শতাংশ জনগণ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
গত মাসে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে গাজায় সহায়তা প্রবাহ বাড়ানো হয়েছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) অপারেশন চিভালরাস নাইট ৩-এর আওতায় আরব আমিরাত থেকে ২৫৭ টন রমজানের খাদ্য সামগ্রী গাজার উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়।
ফুজাইরাহ থেকে এই ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হয়েছে হামাদ বিন মোহাম্মদ আল-শারকি ফাউন্ডেশন ফর হিউম্যানিটারিয়ান ওয়ার্কস এবং ফুজাইরাহ চ্যারিটি অ্যাসোসিয়েশন (এফসিএ)-এর যৌথ উদ্যোগে।
ফুজাইরাহ চ্যারিটি অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সাঈদ বিন মোহাম্মদ আল-রাকবানি বলেছেন, এই উদ্যোগ আরব আমিরাত নেতৃত্বের নির্দেশনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা ফিলিস্তিনিদের সহায়তা এবং তাদের জন্য প্রয়োজনীয় ত্রাণ সরবরাহ নিশ্চিত করতে কাজ করছে।
অপারেশনটির আওতায় এখন পর্যন্ত ইউএই ৩৭,৩০০ টনের বেশি মানবিক সহায়তা ফিলিস্তিনিদের কাছে পৌঁছে দিয়েছে। তবে রমজান আসার সঙ্গে সঙ্গে গাজার মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়ছে। খাদ্য সংকট, বিশুদ্ধ পানির অভাব এবং চিকিৎসা সরঞ্জামের ঘাটতিতে দিন কাটাচ্ছে লাখো ফিলিস্তিনি।
এ অবস্থায় আরও বেশি আন্তর্জাতিক সহায়তা এবং ত্রাণ কার্যক্রম জরুরি হয়ে উঠেছে, যাতে মুসলিমদের পবিত্র এই মাসে গাজার জনগণ অন্তত ন্যূনতম মানবিক সহায়তা পেতে পারে।