প্রকাশ: শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২:০৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৫:৩৩ অপরাহ্ন

দেশের উত্তরাঞ্চলের চার জেলায় গত বছর তামাক চাষ হয়েছিল ১৩ হাজার ৩৪৯ হেক্টর জমিতে। কৃষিজমি ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এই ফসলের চাষ এবার ৪৪ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৯ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে।
এর আগে ২০২৩ সালে তামাক চাষ হয়েছিল ১০ হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে।
দেশে মূলত উত্তরের চারটি জেলায় তামাক চাষ হয়। জেলাগুলো হলো- লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারী ও গাইবান্ধা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তামাকজাত পণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো বিনামূল্যে বীজ, সার, কীটনাশক সরবরাহ করায় তামাক চাষ বেড়েই চলেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, রংপুর অঞ্চলের উৎপাদিত তামাকের ৬০ শতাংশ আসে লালমনিরহাট থেকে। এর পরই রয়েছে রংপুর। এই জেলা থেকে আসে ২০ শতাংশ তামাক। নীলফামারীতে ১৫ শতাংশ আর ৫ শতাংশ গাইবান্ধায়। দেশি-বিদেশি কয়েকটি তামাক কোম্পানি এখানে রীতিমতো তামাকের বাণিজ্য অঞ্চল গড়ে তুলেছে।
রংপুর অঞ্চল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, এই অঞ্চলে তামাক চাষ বেড়ে যাওয়া নিয়ে তারাও চিন্তিত। সরকারিভাবে তামাক চাষ নিষিদ্ধ না হওয়ায় কৃষি বিভাগ শক্ত পদক্ষেপ নিতে পারছে না। উন্নত দেশগুলো তামাক চাষ বন্ধ করায় বাংলাদেশে এটা বেড়ে গেছে। তামাক কোম্পানিগুলো রংপুর অঞ্চলে আস্তানা গেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, 'কৃষকের কাছে তামাক অর্থকরী ফসল হলেও এটি মাটি, পরিবেশ ও মানব-স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে এটি কৃষির জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করবে।'
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার বলেন, তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ করতে কৃষি বিভাগের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বিষয়টি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।