প্রকাশ: সোমবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৫, ৯:১০ অপরাহ্ন
সদর উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের দিঘারকুল ও সিলনা গ্রামে এবার কালার ফুলকপি/মালচিং পেপার ব্যবহারের মাধ্যমে উচ্চমূল্য সব্জি চাষ প্রকল্পের আওতায় ৩৩ শতাংশ জমির প্রদর্শনী প্লটে চাষ হয়েছে রঙিন ফুলকপি। ব্যাতিক্রমধর্মী রঙিন ফুলকপির চাষ করেছেন প্রদীপ বিশ্বাস (৪৫) নামে এক কৃষক। ফুলকপি চাষী প্রদীপ বিশ্বাস বলেন, আমি ইউটিউব দেখে চার বছর চেষ্টার পর রঙিন ফুলকপির বীজ অনলাইনে অর্ডার দিয়ে ক্রয় করেছি। হলুদ রঙের ফুলকপি ভ্যালেন্টিনা এবং উজ্জ্বল বেগুনি রঙের ফুলকপি ক্যারোটিনা জাতের। এসব বীজ ভারত থেকে আমদানি করা। বীজের জার্মিনেশন বা অংকুরোদগম ভালো হলেও হলুদ ফুলকপিতে ফুল আসার পর প্রচুর চারা নষ্ট হয়ে যায়। এটি বীজের মানজনিত কারনে হয়েছে বলে বিক্রেতারা স্বীকার করেছেন। তারপরেও আমি রঙিন ফুলকপি চাষে পিছিয়ে যাইনি। প্রতি শতাংশে ২০০ পিচ চারা রোপন করেছি। এবারই প্রথম উদ্যোগ নিয়ে শেষ পর্যন্ত মোট ৬ শতাংশ জমিতে আমি রঙিন ফুলকপির চাষ করতে সক্ষম হয়েছি। সাধারন ফুলকপির মতোই চাষ প্রক্রিয়া এই রঙিন ফুলকপির। চাষের সময়, পদ্ধতি, খরচ, ফলন, আহরন, স্বাদ সবকিছুই একেবারে একইরকম। আমি এ বছর হলুদ ও উজ্জ্বল বেগুনি রঙের ফুলকপির চাষ করেছি। প্রতিটি ফুলকপি গড়ে ২ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। হলুদ ফুলকপি বিক্রি শেষ। খরচ বাদে আমার লাভ বেশ ভালোই হয়েছে। মওসুমের শুরুতে বিক্রি করায় আমি ভালো দাম পেয়েছি। প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৫০ টাকা করে বিক্রি করেছি। বাজারে ক্রেতারা আগ্রহ নিয়ে হলুদ ফুলকপি ক্রয় করেছে। উজ্জ্বল বেগুনি রঙের ফুলকপি একটু দেরিতে লাগিয়েছি। এখন ধীরে ধীরে বাজারজাত করবো। আশাকরি বেগুনি রঙের ফুলকপিও ভালো দামে বিক্রি করতে পারবো। ক্রেতারা মোবাইল ফোনে যোগাযোগ রাখছে।
রঘুনাথপুর ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রদীপ হালদার বলেন, কৃষক প্রদীপ বিশ্বাস রঙিন ফুলকপি চাষের আগ্রহ প্রকাশ করলে আমি তাকে সার্বিক পরামর্শ দিয়েছি। প্রথম বছরেই তিনি বেশ লাভবান হয়েছেন রঙিন ফুলকপি চাষ করে।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজা আক্তার বলেন, কৃষকরা যে কোন ফসলের চাষে সহায়তা বা পরামর্শ চাইলে আমরা তা দিতে প্রস্তুত।