প্রকাশ: রোববার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৫, ৬:৩৩ অপরাহ্ন
সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় কুশিয়ারা নদীর উপর নির্মিত সুনামপুর-চন্দরপুর সেতু নির্মাণ শেষ হয় ২০১৫ সালের ২০ আগস্ট। ২৫০ মিটার দীর্ঘ এ সেতু নির্মাণে দুই দফায় ব্যয় হয়েছিল প্রায় ৩২ কোটি টাকা। অথচ সেতু যাতায়াতের জন্য খুলে দেয়ার কিছুদিন পর থেকে এ্যাপ্রোচ সড়কের নকশার ত্রুটির কারণে দুই পাশে ধস নামা শুরু হয়। উদ্বোধনের ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও এ্যাপ্রোচ সড়কের ধস নামা অব্যাহত রয়েছে।
সেতুর সাথে এ্যাপ্রোচ সড়কের উভয় পার্শ্বের সংযোগস্থল বাঁকা এবং অস্বাভাবিক ঢালুর কারণে শুধু বর্ষা মৌসুম নয় শোকনো মৌসুমেও ধস নামে সড়কের দুপাশের বিভিন্ন অংশে— এতে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীসহ সাধারণ মানুষ।
সুনামপুর-চন্দরপুর সেতু নির্মিত হওয়ার পর সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলার ৫ উপজেলার মধ্যে সহজ যোগাযোগ নেটওয়ার্ক তৈরী হয়েছিল। উচ্চসিত ছিলেন বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ, বড়লেখা, জুড়ীসহ ৫ উপজেলার কয়েক লাখ অধিবাসী। কিন্তু এ্যাপ্রোচ সড়কের নকশার ত্রুটির কারণে বারবার ধস নামায় তাদের সে উচ্ছ্বাস চুপসে গেছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগে সিলেট অফিস সুনামপুর- চন্দরপুর সেতু নির্মাণ বাস্তবায়ন করলেও এ্যাপ্রোচ সড়কের নকশা ত্রুটি বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে এ দায়িত্বশীল বলেন, সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব এলজিইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে ।
নকশার ত্রুটি নয় নদীর প্রবহমান স্রোতের কারণে ধস নামছে জানিয়ে এলজিইডি সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, সড়কের ধস নিয়ন্ত্রণ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
২০০০ সালের ১৯ জুন চন্দরপুর-সুনামপুর সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ। ২০০৪ সালে তৎকালীন সংসদ সদস্য সৈয়দ মকবুল হোসেন লেচু মিয়া আবারও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে কাজে হাত দেন, চলে বেশ ক’দিন। সেতুর খুঁটি, গার্ডারসহ সিকিভাগ কাজের পর আবার বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৩ সালে সরকার ৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়ক নেটওয়ার্কে অন্তর্ভুক্ত সেতুগুলোর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্তকরণ প্রকল্পের আওতায় কাজ শুরু হয়ে শেষ হয় ২০১৫ সালে। সে বছরের ২০ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুর উদ্বোধন করেন।